বরগুনা প্রতিনিধি:
উপকূলীয় বন বিভাগের বরগুনা জেলা কার্যালয় খোলা হয় না, সব সময়ই তালা মারা থাকে বলে জানা গেছে। জেলা রেঞ্জ প্রধান মো. মতিউর রহমান শারীরিক অসুস্থাতার কারণ দেখিয়ে অফিসে আসেন না। অথচ মাসের শেষে ঠিকই বেতনটা তুলে নেন।
সোমবার (৯ সেপ্টম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরগুনা পৌরসভার সোনাখালী এলাকায় অবস্থিত জেলা বন বিভাগের কার্যালয়ে সরেজমিনে গেলে অফিস তালা বন্ধ পেয়ে ঘটনার সত্যতা মেলে।
সেখানে কর্মরত পান্টিশন মালি (পিএম) উত্তম বলেন, আমাদের স্যার বনের কাজে অফিসের বাহিরে আছেন।
বন বিভাগের বরগুনা জেলা রেঞ্জ সহকারী জালাল বলেন, রেঞ্জ প্রধান অসুস্থতার কারণে অফিসে আসেননি। আমি বর্তমানে বুড়িরচর ইউনিয়নের ছোট লবনগোলা গ্রামের নার্সারির কাজে ব্যস্ত। স্যারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে ২ দিন অপেক্ষা করুন, দেখা করিয়ে দেবো।
বন বিভাগের বরগুনা রেঞ্জের প্রধান মো. মতিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, সরকারি নিয়মে অফিস সময়ের মধ্যে সবার অফিসেই থাকা উচিত। বন বিভাগের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হবে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তারাই ব্যবস্থা নেবেন।
নৌপথ খনন কাজে প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক: নৌ-প্রতিমন্ত্রী
নৌপথ খনন কাজের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, খনন কাজে তদারকি আরও জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজে আরও গতিশীলতা আনতে হবে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
সভায় জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ২৪৪ কোটি টাকা আয় করেছে।
ঢাকার চারপাশে নদীর সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ তরান্বিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে জানানো হয় যে, কামরাঙ্গীরচর ও রামচন্দ্রপুরে সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
নদী তীরে অ’বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বর্জ্য উত্তোলনের জন্য ৬টি নতুন এক্সক্যাভেটর সংগ্রহ করা হয়েছে। নদীকে দূষণমুক্ত করতে ‘রিভার ক্লিনার ভেসেল’ সংগ্রহ করা হবে। নৌপথ খননে আরও ড্রেজিং সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।
এছাড়া জামালপুরের বাহাদুরাবাদঘাট ও গাইবান্ধার বালাশীঘাটের মধ্যে দ্রুত ফেরি সার্ভিস চালু করা, শূন্যপদে জনবল নিয়োগ, চিলমারী নদীবন্দরসহ অন্যান্য নদীবন্দর ও ঘাটগুলোর উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।