ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে সিজারিয়ান অপারেশনের ৩ মাস ১৮ দিন পর এক গৃহবধূর পেট থেকে ফের অপারেশন করে বের করা হলো গজ ব্যান্ডেজ। ওই গৃহবধূ বর্তমানে শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তার ২য় দফা অপারেশন সম্পন্ন হয়। ওই গৃহবধূর নাম ফরিদা বেগম। তিনি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মাসুদ শেখের স্ত্রী।
গৃহবধূর স্বজনেরা জানান, গত ২৫ মে ওই গৃহবধূ প্রসবজনিত অসুস্থাবস্থায় খাবাসপুরের সাফা মক্কা পলি ক্লিনিকে এসে ভর্তি হন। ওইদিনই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শ্যামল কুমার বিশ্বাস তার সিজার করেন এবং কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
কিন্তু ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দিলেও শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন না তিনি। বাড়ি যাওয়ার পর ক্রমেই পেটের ভেতরে ব্যথা অনুভব হতে থাকেন। সম্প্রতি ওই ব্যথা প্রকট আকার ধারণ করলে একই এলাকার হ্যাপি হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।
চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী আলট্রাসনোগ্রাম করলে পেটের মধ্যে গজ ব্যান্ডেজের উপস্থিতি দেখা করা যায়।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ফের অপারেশন করে পেট থেকে কয়েক ইঞ্চি পরিমাপের ১ টুকরো গজ ব্যান্ডেজ উদ্ধার করা হয়।
অপারেশন পরিচালনাকারী চিকিৎসক ডা. স্বপন কুমার জানান, অসুস্থ এক রোগীর পেট থেকে গজ বের করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে পেটের মধ্যে গজ ব্যান্ডেজ থাকায় ইনফেকশন হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন সেই রোগীর স্বজনরা। তারা বলেন, আমরা গরীব আর অসহায় এসব ডাক্তারদের হাতে জিম্মি হয়ে আছি। আমাদের কথা কেউ শুনবে না। এমন ঘটনায় আমাদের রোগী তো মারাও যেতে পারতো, আমরা এর বিচার চাই।
এদিকে এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. শ্যামল কুমার বিশ্বাস জানান, ওই রোগীর সিজার করেছিলেন কি-না তা তার মনে নেই। অপরদিকে সাফা মক্কা পলি ক্লিনিকের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।