বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া শহরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল ঔ’ষধ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-১২ বগুড়ার ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়া ও ঠনঠনিয়া এলাকায় এই অভিযান চালায়। এ সময় ১ নারীসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে তাদের জেল ও জরিমানার আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এস এম মোর্শেদ হাসান জানান, সুলতানগঞ্জ পাড়া এলাকার কল্পনা বেগম (৩৫) নামে এক নারীর বাড়ির ভেতরে অ’বৈধ ঔ’ষধ তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছিলেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল ঔ’ষধ জব্দ করা হয়।
সেই সঙ্গে আটক করা হয় কল্পনাকে। তিনি ওই এলাকার তাইজুল ইসলামের স্ত্রী। এরপর বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার শাহেদুজ্জামানের (৩৫) বাড়িতে পৃথক অভিযান চালানো হয়। তার বাড়ি থেকেও বিপুল পরিমাণ নকল ঔ’ষধ জব্দ করা হয়। এ সময় শাহেদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঠনঠনিয়া হাজিপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদুজ্জামানের ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৮ মাসের বিনাশ্রম কারাদ’ণ্ড প্রদান করেন। তার জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদ’ণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে।
ভেজাল ও নকল ঔ’ষধ তৈরির সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয় জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, জব্দ করা ঔ’ষধের আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকা। পরে জব্দকৃত ঔ’ষধ আদালতের অনুমতিতে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আব্দুর রহমান জানান, তাৎক্ষণিকভাবে কল্পনা বেগমের ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ’ণ্ড প্রদান করেন। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তার আরও ৪ মাসের বিনাশ্রম করাদ’ণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া অপর অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত শাহেদুজ্জামানেরও জেল জরিমানা করা হয়েছে। তারা ২ জনেই পৃথক স্থানে ক্ষ’তিকর ও নকল ঔ’ষধ তৈরী করছিল।
26