বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাজগ্রামের মাদ্রাসাছাত্রীকে (১০) ধ’র্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার দপ্তরীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত দপ্তরী বাবলু গায়েন (৪৫) থালতামাজ গ্রামের আকবর আলী গায়েনের ছেলে।
নন্দীগ্রাম থানার কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর আজিজার রহমান জানান, উপজেলার এস এম ফাজিল মাদ্রাসাছাত্রী শনিবার বেলা ১১টায় তার ক্লাসের কয়েকজন ছাত্রীর সাথে মাদ্রাসার পাশে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে মেডিসিন নিতে যাচ্ছিল।
এ সময় ঐ ছাত্রীর সাথে তার মাদ্রাসার দপ্তরীর বাবলু গায়েন (৪৫) এর দেখা হয়। বাবলু গায়েন তাকে কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাবলুর ফাঁকা বাড়িতে তাকে ধ’র্ষণ করে।
ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন জানতে পেরে বাড়িটি ঘেরাও করে রাখে এবং তারা থানায় খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ বাবলুর বাড়ি থেকে মাদ্রাসার ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং বাবলুকে গ্রেপ্তার করে।
জানা গেছে, বাবলু তার নাতীর জন্ম হওয়ার খবর জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা শিশুটিকে বাড়ি ডেকে নিয়ে গিয়ে মিষ্টি খেতে দেয়। বাবলুর স্ত্রী ও ছেলের বউসহ সবাই হাসপাতালে থাকায় বাড়ি ফাঁকা ছিল। এই সুযোগে বাবলু শিশুটিকে ধ’র্ষণ করে বাড়িতেই আটকে রাখে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত কবির জানান, বাবলু গায়েনকে গ্রেপ্তার করে নন্দীগ্রাম থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
অন্তঃস্বত্ত্বা নারীকে ধ’র্ষণ করায় বাড়িওয়ালা গ্রেপ্তার
গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অন্তঃস্বত্ত্বা নারীকে (১৯) ধ’র্ষণের অভিযোগে আতাউর রহমান আতা (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে জয়দেবপুর থানা পুলিশ।
আতাউর রহমান আতা নয়নপুর গ্রামের মরহুম রুস্তম আলীর ছেলে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নয়নপুর গ্রামে নিজবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন জানান, অন্তঃস্বত্ত্বা ওই নারী শনিবার থানায় ধ’র্ষণের অভিযোগ দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ্য করেন গত ২৫ আগস্ট সন্ধায় নিজের ঘরে বাড়িওয়ালা তাকে ধ’র্ষণ করে। ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষা করার জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।