চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও সৌদি প্রবাসী আব্দুল গণি। ২ মেয়ে ও ১ ছেলের জনক তিনি। ভালই চলছিল স্ত্রী, সন্তান ও পিতা-মাতাকে নিয়ে তাদের সংসার।
কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লেন গণি। ফলে এ বছর দেশে এসে পরকীয়ায় জড়িত নারীর কাছে গিয়ে প্রায় ২ মাস কাটিয়ে সৌদি ফেরার সময় স্ত্রী ও পুলিশের হাতে পড়লেন গণি।
গত সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আটক হন তিনি। এমন সংবাদে তার বাড়িতে জেনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মা’রা গেছেন গণির পিতা গোফরান মিয়া।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ বুধবার চাঁদপুর আদালতে পাঠালে গণিকে চাঁদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, সৌদি আরবে যাওয়ার জন্যে গণির ফ্লাইটের সময় ছিল গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট। কিন্তু ফ্লাইটে ওঠার আগেই আব্দুল গণির সামনে এসে উপস্থিত স্ত্রী। পরে সোপর্দ হন পুলিশের কাছে।
যৌতুকবিরোধী আইনে স্ত্রীর মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে প্রবাসী আব্দুল গণিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুত্রের আটকের ঘটনার সংবাদ পেয়ে পিতা গোফরান গত মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মা’রা যান।
স্থানীয়রা বলছে, উপজেলার ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রামের আব্দুল গণি ২০০৩ সালের ২৬ অক্টোবর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক একই উপজেলার ৭নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের বিষুরবন্দ গ্রামের রাবেয়া বেগমকে বিয়ে করেন।
রাবেয়া বেগম বলেন, ২০০৬ সালে তার স্বামী আব্দুল গণি সৌদি আরবে পাড়ি জমান। মাঝে মধ্যে ছুটি নিয়ে তিনি বাড়ি এলেও তার ৩য় সন্তানটিকে মাতৃগর্ভে রেখে ২০১৫ সালে তিনি সর্বশেষ সৌদি আরবে ফিরে যান।
এরই মধ্যে তিনি বিদেশে থেকে ফেসবুকে খুলনার শারমিন ইসলাম মিথিলা নামে এক নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। চলতি বছরের ২১ জুলাই আব্দুল গণি সৌদি আরব থেকে দেশে এলেও বাড়িতে না এসে খুলনায় চলে যান। সেখানে আমার অনুমতি ছাড়া মিথিলাকে বিয়ে করেন।
বিয়ের সংবাদ জানতে পেরে রাবেয়া বেগম আদালতে ২৮ জুলাই মামলা করেন। ওই মামলায় ২৩ আগস্ট আব্দুল গণির বিরু’দ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
540