স্পোর্টস ডেস্ক:
ইরানের ফুটবল এগিয়ে যাচ্ছে। মাঠে ভালো করছে ইরানের মেয়েরাও। তবে ইরানের কোনো স্টেডিয়ামে নারীদের এখনও প্রবেশের অনুমতি নেই। ধর্মীয় মূল্যবোধের কারণেই এমন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ইরান।
তবে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা এই অবস্থার পরিবর্তন চায়। ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো তো বলতে গেলে মোটামুটি একটা হুম’কিই দিয়ে দিলেন-মেয়েদের মাঠে প্রবেশ করতে দিতে হবে।
মূলত গত মাসের এক ঘটনাতেই নড়েচড়ে বসেছে ফিফা। নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তেহরানের আজাদি স্টেডিয়ামে ছদ্মবেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন সাহার খোদায়ারি নামের একজন।
‘ব্লু গার্ল’ নামে পরিচিত ২৯ বছর বয়সি সাহার খোদায়ারি গত মার্চ মাসে তার প্রিয় ইরানি ফুটবল ক্লাব এস্তেগলালের খেলা দেখতে পুরুষের বেশ ধরে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করেন। নীল রঙের পরচুলা পরেছিলেন তিনি, গায়ে ছিল ওভারকোট, তারপরও স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় ধরা পড়ে যান।
গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্ত হন সাহার খোদায়ারি। কিন্তু গত সপ্তাহে তার ৬ মাসের সাজার রায় দেন আদালত। এরপর আদালতের বাইরেই নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ওই নারী।
এবার ফিফার সভাপতি বলেছেন, নারীদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে দিতে হবে ইরানকে। সংস্থাটির সভাপতি ইনফান্তিনো বলেন, আমি ইরানিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে আগেও যোগাযোগ করেছি। বর্তমানে ইরানে আমাদের ফিফার একটি প্রতিনিধি দল আছে। আশা করছি, ভালো খবরই আসবে। আমাদের অবস্থান পরিস্কার এবং কঠিন। নারীদের ইরানের ফুটবল স্টেডিয়ামে ঢুকতে দিতে হবে।
বর্তমানে বিশ্ব ফুটবলের র্যাংকিংয়ে ২৩ নাম্বারে আছে ইরান। আগামী ১০ অক্টোবর তারা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেরে ম্যাচে খেলবে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে।
আমি মনে-প্রাণে একজন ফিলিস্তিনি: ম্যারাডোনা
ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ম্যারাডোনা। ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে ম্যারাডোনা এ কথা জানান। রাশিয়া বিশ্বকাপে দু’জনের দেখা হয়। দুই জনের এই সাক্ষাতে ম্যারাডোনা আব্বাসকে বলেন, আমি মনে প্রাণে একজন ফিলিস্তিনি।