সময় এখন ডেস্ক:
রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত সাবেক যুবদল ও বর্তমান যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করেছে র্যাব। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে শামীমের কার্যালয় থেকে তাকে আটক করা হয়।
অভিযানে পাওয়া যায় শুধু টাকা আর টাকা, যেন টাকার পাহাড়! রাজধানীর নিকেতনে তার ব্যবসায়িক কার্যালয় জি কে বিল্ডার্সে নগদ দেড় কোটি টাকা উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ছাড়া ২০০ কোটি টাকার একটি এফডিআর পাওয়া গেছে।
শামীমের সঙ্গে তার ৭ সশস্ত্র দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়েছে। র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শামীমের কাছ থেকে অত্যাধুনিক একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তার ৭ দেহরক্ষীর কাছ থেকে আরও ৭টি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
বর্তমানে জি কে শামীমের নিকেতনের কার্যালয়ে তার নিজ চেম্বারে তাকে জিজ্ঞাসা’বাদ শুরু করেছে র্যাব। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমসহ র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ জিজ্ঞাসা’বাদ চলছে।
তার চেম্বারের টেবিলের ওপরে নগদ টাকার বান্ডিল, এফডিআরের কাগজপত্রসহ, নানা ঠিকাদারি কাজের কাগজপত্র, মদের বোতল ইত্যাদির তালিকা তৈরি করেছে র্যাব।
সূত্র জানায়, সিজার লিস্ট (জব্দ তালিকা) ধরে একে একে তাকে সব বিষয়ে জিজ্ঞাসা’বাদ করা হবে। এ ছাড়াও বাংলাদেশি টাকার পাশাপাশি তার কাছে বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলার, ইউরো, ২টি মোটরসাইকেল ও ২টি জিপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলোর বিষয়েও প্রাথমিক জিজ্ঞাসা’বাদ করা হচ্ছে।
বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হয় এই জিজ্ঞাসা’বাদ। এর আগে অভিযানে প্রাপ্ত টাকা ও এফডিআরের কাগজপত্র দেখাতে সাংবাদিকদের তার চেম্বারে ঢোকার সুযোগ দেয় র্যাব। তবে জিজ্ঞাসা’বাদের সময় তাদের বের হওয়ার অনুরোধ করেন র্যাব কর্মকর্তারা।
শামীমের নিকেতনের কার্যালয়টিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্টাফ ও অন্যদের আটকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কার্যালয়ে কাউকে ঢুকতে এবং বের হতে দেয়া হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসা’বাদ শেষে শামীমকে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে প্রয়োজনে তাকে নিয়ে অন্য কোথাও তল্লা’শি চালানো হতে পারে।