মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
৩ বছরের ছোট্ট লামিয়ার সঙ্গে গল্প করতে করতে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সায় করে বাড়ি ফিরছিলেন মা আরিফা আক্তার (২২)। কিন্তু কে জানত বাড়ি ফেরার আগেই মা-হারা হবে শিশু লামিয়া।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জ শহরের ল’কলেজ এলাকায়। অটোরিক্সার চাকায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মা আরিফা আক্তারের মৃত্যু হয়। এ সময় রিক্সাচালক পালিয়ে গেলে মায়ের মর’দেহের পাশে বসেই কাঁদছিল শিশু লামিয়া।
নিহত আরিফা আক্তার মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বড় সুরুন্ডি গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে। তার স্বামীর নাম খোকন মিয়া। পেশায় তিনি একজন বাসচালক।
আরিফার চাচাত ভাই আব্দুর রাজ্জাক জানান, সদর উপজেলার তরা এলাকায় খালার বাড়ি থেকে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে একমাত্র মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আরিফা। শহরের ল’কলেজ এলাকায় হঠাৎ রিক্সার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরূদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। আকস্মিক এ ঘটনার পর রিক্সা ফেলে রেখেই চালক পালিয়ে যান।
এ সময় মায়ের মর’দেহের পাশে বসেই কাঁদছিল শিশু লামিয়া। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। শিশুটির কাছ থেকে ঠিকানা জেনে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মো. শহিদুর আজম বলেন, আরিফাকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। রিক্সার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরূদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। তার গলায় কাটা দাগ রয়েছে।
আরিফার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে এসেছে। হাসপাতালে তার মর’দেহ দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
২ লাখ ইয়া’বাসহ কোস্টগার্ডের হাতে আটক ৮ রোহিঙ্গা
মিয়ানমারের ট্রলারে করে পাচারকালে সেন্টমার্টিন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর থেকে ২ লাখ পিস ইয়া’বা ও ট্রলারসহ ৮ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে ইয়া’বাসহ তাদের আটক করা হয়।
আটক মিয়ানমারের নাগরিকরা হলেন- মো. রবি আলম (১৭), মো. আলম (২৫), মো. শফিকুল (১৮), মো. নুর (১৮), মো. নুর আলম (৩০), আলী আজমদ (২০), নুরুল আমীন (৩৫) ও মো. দইলা (২০)।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার অপারেশন লে. কমান্ডার সাইফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের অধীনস্থ টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. সোহেল রানার নেতৃত্বে বিশেষ টিম সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে গভীর সমুদ্রে অভিযানে যায়।
এ সময় গভীর সাগর এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে একটি ট্রলার আসতে দেখে থামানোর সংকেত দেয়। এতে কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রলারটি পালিয়ে যেতে চাইলে কোস্টগার্ড সদস্যরা ধাওয়া করে ট্রলারটি আটক করে। পরে ট্রলার তল্লা’শি চালিয়ে ২ লাখ পিস ইয়া’বাসহ ৮ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়।
ইয়া’বাসহ আটক রোহিঙ্গা নাগরিকদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড কর্মকর্তা।