সময় এখন ডেস্ক:
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকা মহানগর যুবদলের সাবেক সহসম্পাদক ও বর্তমান যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের কথা বলতে গিয়ে ২ দফা তার পূর্ব পরিচয়- ‘যুবদল নেতার বাড়িতে’ উল্লেখ করেন।
এ সময় তার পাশে দাঁড়ানো অপর এক বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফের কানের কাছে ফিসফিস করে বলেন, স্যার, ও এখন যুবদল না যুবলীগ। এ সময় তিনি ‘আই এম সরি’ বলে ‘যুবলীগ নেতার অফিস থেকে নগদ কোটি টাকা এবং ১৭৫ কোটি টাকার এফডিআর ও ডলার উদ্ধার করা হয়েছে’- বলে বক্তব্য সংশোধন করেন।
তিনি বলেন, সামান্য একজন নেতার কাছে এত টাকা থাকলে বড় নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালালে আরও বহুগুণ টাকা উদ্ধার হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল।
ড. মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সমাজের সব স্তরে পচন ধরেছে। প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় রাজধানীতে ক্যাসিনো চলছে। এমন কোনো অন্যায় নেই যে এই অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকারের আমলে হচ্ছে না। জনগণ আজ নিরাপত্তাহীন, ব্যাংকগুলো দেওলিয়া হয়ে গেছে। ঋণখেলাপিদের না ধরে বরং উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকারের ওপর মহল থেকে সহায়তা না থাকলে এ সব অ’পকর্ম হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, এ সরকারের অন্যায়, অ’ত্যাচার, নিপী’ড়ন, অ’নৈতিক এবং অস্বাভাবিক সরকারের হাত থেতে জনগণকে রক্ষা করতে হলে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ছাড়া গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না।
ওলামা দলের আহ্বায়ক পীরজাদা শাহ মো. নেছারুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, রফিক শিকদার, আবু নাসের রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গ, জি কে শামীম একসময় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ক্যাডার ছিলেন। বিএনপির আমলে জি কে শামীমের ভয়ে মতিঝিল, পল্টন, শান্তিনগরের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়িয়েছেন। স’ন্ত্রাস আর চাঁদাবাজি ছিল তার পেশা। ওই সময় মির্জা আব্বাসের ডানহাত হিসাবে গণপূর্ত ভবনের সকল টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেন তিনি।
626