টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার আগৈত গ্রামে এক স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. মঈনুল হক।
গত শুক্রবার রাতে তিনি ওই ছাত্রীর বাড়িতে হাজির হয়ে তাকে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন। এ সময় তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বরের বাবা গণেশ মন্ডলের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরি’মানা আদায় করেন। এছাড়া দরিদ্র ওই ছাত্রীর লেখাপড়ার দায়িত্বও নেন তিনি।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের আগৈত গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে নাগরপুর উপজেলার দিতুলিয়া গ্রামের গণেশ মন্ডলের ছেলের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল।
গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে এসিল্যান্ড মো. মঈনুল হক তাৎক্ষণিক ওই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে দুই পরিবারের সদস্যদেরকে অবহিত করেন। তাদেরকে এর ভয়াবহতা এবং দেশের প্রচলিত আইন ও এর শাস্তির বিধান সম্পর্কেও জানান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বরের বাবা গনেশ মন্ডলকে ১০ হাজার টাকা জরি’মানা করা হয়।
সেই সঙ্গে দরিদ্র ওই স্কুলছাত্রীর লেখাপড়ার দায়িত্বও নেন এসিল্যান্ড মো. মঈনুল হক। এরপর রোববার ওই ছাত্রীকে বইসহ ৫ হাজার টাকার শিক্ষা উপকরণ কিনে দিয়েছেন তিনি।
কনের মা জানান, ২ বছর আগে তার স্বামী মা’রা গেছেন। সংসারের খরচ যোগাতে তিনি রাস্তায় মাটির কাজ করেন। আয়ের টাকা দিয়ে সংসার ও মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। অভাবের কারণে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে না পেরে বিয়ের আয়োজন করেছিলাম।
এসিল্যান্ড ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. মঈনুল হক জানান, বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যাই। এরপর তাদের বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে। বরের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরি’মানা করা হয়। সেই সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর লেখাপড়ার খরচের দায়িত্বও নিয়েছি।
41