মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি মেছো বাঘ ধরা পড়েছে। রোববার ভোরে উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানে স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. রজব আলীর (৫৫) পাতানো জালে আটকা পড়ে মেছো বাঘটি।
স্থানীয়রা জানান, ভাড়াউড়া চা বাগান এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে গৃহপালিত হাঁস-মুরগি নিখোঁজ হচ্ছিল। এ কারণে শনিবার দিবাগত রাতে মুয়াজ্জিন রজব আলী তার বাড়িতে জাল দিয়ে একটি ফাঁদ পাতেন। রোববার ভোরে সেই ফাঁদে একটি মেছো বাঘ আটকা পড়ে।
সকালে আটক মেছো বাঘটি স্থানীয়দের সহায়তায় বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব জানান, বনে খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় কিছু কিছু প্রাণী খাদ্যের সন্ধানে মাঝে মধ্যেই লোকালয়ে এসে গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে লোকালয়ে আসায় মাঝে মাঝে তারা মানুষের হাতে ধরা পড়ে মা’রাও যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে মেছো বাঘকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মেছো বাঘ আসলে বাঘরোল বা মেছো বিড়াল নামেও পরিচিত। এটি মাঝারি আকারের বিড়ালগোত্রীয় একধরনের স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী।
স্থানীয় বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে গৃহপালিত পশু-পাখি নিখোঁজ হচ্ছিল। এ নিয়ে আমরা চিন্তিত ছিলাম। বাঘটি ধরা পড়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।
শাহজালালে যাত্রীর পায়ুপথে মিলল ৫ হাজার পিস ইয়া’বা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪ হাজার ৭শ পিস ইয়া’বাসহ পলাশ মাহমুদ (৪৩) নামে এক যাত্রীকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। আটক পলাশ ঢাকার পশ্চিম রামপুরা এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় তাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস অ্যান্ড মিডিয়া) আলমগীর হোসেন।
তিনি বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার সময় কক্সবাজার থেকে নভোএয়ারের ফ্লাইট ভিকিউ ৯৩৮ যোগে ঢাকায় আসেন পলাশ মাহমুদ। ঢাকায় আসার পর তার সন্দেহজনক চলাফেরা অনুসরণ করেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের সদস্যরা।
তার সঙ্গে কথা বললে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্তিকর ও সন্দেহজনক তথ্য দেন। পরবর্তীতে তাকে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের হেফাজতে নিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসা’বাদ করা হয়। তখন তিনি পায়ুপথে ইয়া’বা বহনের কথা স্বীকার করেন। এই ইয়া’বার বাজার মূল্য সাড়ে ২৩ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।
জিজ্ঞাসা’বাদে পলাশ জানান, কক্সবাজারের উখিয়ার জনৈক তাহেরের কাছ থেকে এই ইয়া’বা সংগ্রহ করেছেন তিনি। তিনি নিজেই এই চালানের বিনিয়োগকারী। ১ বছর আগে আরও চালান এনেছিলেন। আটক ইয়া’বা রামপুরা এবং আশুলিয়া থানা এলাকায় বিক্রি হতো বলেও জানান।
পলাশের বিরু’দ্ধে বিমানবন্দর থানায় মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানো হয়েছে।
26