আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যৌ’নকর্মী মায়ের প্রেমিকের নজর পড়েছিল ওই নারীর শিশুকন্যার ওপর। যৌ’নকর্মী ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পর তার মেয়েকে ধ’র্ষণ করে ওই ব্যক্তি। মেয়েটিকে এ নিয়ে চুপ থাকার হুম’কি দেয় তার মা। কিন্তু মায়ের প্রেমিকের হাতে ধ’র্ষণের শি’কার হওয়ার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ করে ৯ বছরের মেয়ে।
মেয়েটিকে ধ’র্ষণ করার অপরাধে ১০ বছরের জেল হয়েছে ওই অভিযুক্তের। ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি আসলে মেয়েটির মায়ের লিভ ইন পার্টনার।
আর সেই মা কোলের সন্তানকে একাধিকবার হুম’কি দিয়েছিল যাতে কোনোক্রমে এই ঘটনা পুলিশের কাছে না পৌঁছায়। লিভ ইন পার্টনারকে বাঁচাতে নিজের মেয়েকে বারবার এই হুম’কি দিয়েছেন যৌ’নকর্মী মা।
ভারতের শিশু সুরক্ষা আইনে বৃহস্পতিবার ২৫ বছরের ওই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দেশটির একটি আদালত। আদালতের বিচারকরা ওই ধ’র্ষককে ১০ বছরের কারাদ’ণ্ড দিয়েছেন।
পুলিশ বলছে, মেয়েটিকে শেলটার হোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিচারক ভারতী বলছেন, মেয়েটির মা তার লিভ ইন পার্টনারের বিরু’দ্ধে অভিযোগ করতে বারণ করেছিল। এমনকি হুম’কিও দিয়েছিল। এত কিছুর পাশাপাশি মেয়েটি সাহস দেখিয়ে কোর্ট অবধি এসেছে। তার সাহসকে সত্যিই বাহবা দিতে হয়!
কৌঁসুলি রাকেশ তিওয়ারি মেয়েটির মা, চিকিৎসক ও পুলিশের সঙ্গেই কথা বলেছেন। মেয়েটির মা আসলে একজন যৌ’নকর্মী। বেশকিছু দিন ধরে ২৫ বছরের ওই যুবকের সঙ্গে লিভ ইন করছিলেন তিনি।
৬ষ্ঠ শ্রেণির শিশুকে ধ’র্ষণ করে পলাতক মুসা কারিগর গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার সাতবসু গ্রামে ঘরে ঢুকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধ’র্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি মুসা কারিগরকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মুসা কারিগর কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের হোসেন কারিগরের ছেলে।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে মুসা কারিগর সাতবসু গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়িতে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে ওই স্কুলছাত্রীকে মুখে গামছা পেঁচিয়ে ধ’র্ষণ করে।
পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর কালিগঞ্জ থানায় ওই স্কুলছাত্রীর চাচা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর মুসা কারিগর ঢাকায় পালিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার সাভার ব্যাংক কলোনি এলাকার জনৈক আবুল কালামের ভাড়া বাড়ি থেকে আটক করে মুসাকে কালিগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।