আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের অতি-রক্ষণশীল দেশ সৌদি আরবে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৩৪ জনকে শূলে চড়িয়ে এবং শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদ’ণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন রয়েছেন যাদের শিশু বয়সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে যেসব ব’ন্দির শির’শ্ছেদ কিংবা শূলে চড়িয়ে মৃত্যুদ’ণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরোধী। তারা বিভিন্ন সময়ে সৌদি যুবরাজের সমালোচনা করেছেন। তাদের মৃত্যুদ’ণ্ড কার্যকর করার আগে নি’র্মম নির্যা’তন চালানো হয়। পরে মধ্যযুগীয় কায়দায় সর্বোচ্চ সাজা কার্যকর করা হয়।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মৃত্যুদ’ণ্ড কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করলেও দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা কার্যকরের হার অত্যন্ত বিপ’জ্জনকভাবে বাড়ছে।
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে ১৩৪ জনের প্রাণদ’ণ্ড মধ্যযুগীয় কায়দায় কার্যকর করা হয়েছে। আরো প্রায় ২৪ জন মৃত্যুদ’ণ্ড কার্যকরের তালিকায় রয়েছেন, শিগগিরই তাদের শির’শ্ছেদ করা হতে পারে বলে শ’ঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ শিশুসহ, যুবরাজের বিরোধী, ধর্মীয় পণ্ডিত ও মানবাধিকার কর্মী রয়েছেন।
যাদের মৃত্যুদ’ণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের মধ্যে শিশু বয়সে গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জন ছিলেন। ১৮ বছর বয়সের আগে সৌদি রাজপরিবার বিরোধী এক বিক্ষোভে অংশ নেয়ার দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এছাড়া চলতি বছরে ৩ নারী ও ৫১ জন পুরুষের বিরু’দ্ধে মা’দক দ্রব্য চোরাচালানের অভিযোগ ছিল; যাদের মৃত্যুদ’ণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
সুন্নী সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদি আরবে শিয়া পণ্থা ছড়ানোর দায়ে আরো ৫৮ জন বিদেশি নাগরিককে এই সাজা ভোগ করতে হয়েছে। এদের মধ্যে পাকিস্থানের ২১, ইয়েমেনের ১৫, সিরিয়ার ৫, মিসরের ৪, জর্ডানের ২, নাইজেরিয়ার ২, সোমালিয়ার ১ নাগরিক ও অজ্ঞাত ২ ব্যক্তি রয়েছেন।
দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ ৩৭ জনের গণশির’শ্ছেদের মতো ভয়াবহ এক নৃশং’সতা দেখা যায় চলতি বছরের ২২ এপ্রিল। এদের মধ্যে ১ জনকে শূলে চড়িয়ে মৃত্যুদ’ণ্ড কার্যকর হয়।
সূত্র: দ্য সান
137