রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার একটি পুকুর থেকে পদ্মার মিঠা পানির কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর এলাকার লোকজন কুমিরটি দেখতে ভিড় জমায়।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার মিয়াপুর এলাকার কলেজশিক্ষক রফিকুল ইসলামের পুকুর থেকে কুমিরটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কুমির উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন বন বিভাগের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও দমকল কর্মীরা।
জানা গেছে, সাড়ে ৭ ফুটের কুমিরটির ওজন প্রায় ৬৫ কেজি। এটি মিঠা পানির পূর্ণবয়স্ক কুমির। কুমিরটি উদ্ধারের পর রাতে রাজশাহী বন্য প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
গ্রামবাসী জানান, রোববার সকাল ৭টার দিকে পুকুরে কুমিরের উপস্থিতি টের পান স্থানীয়রা। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা কুমির দেখতে পুকুর পাড়ে ভিড় জমান।
খবর পেয়ে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মৎস্য অফিস ও বন বিভাগের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লোকজনও ঘটনাস্থলে হাজির জন।
কুমির উদ্ধার অভিযান বিষয়ে চারঘাট ফায়ার সার্ভিসের প্রধান জহিরুল ইসলাম জানান, প্রথমে তারা জাল টেনে কুমিরটিকে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কয়েক দফার চেষ্টাতেও কুমিরটি ধরা পড়েনি।
অবশেষে বিকেল ৪টার দিকে পুকুরের পানি সেচ দিতে শুরু করেন। পানি কমে এলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে লুকিয়ে থাকা কুমিরটি বেরিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাল ফেলে অক্ষত অবস্থায় কুমিরটিকে তুলে আনা হয়।
বন বিভাগের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর জানান, এটি মিঠা পানির কুমির। কুমিরটি লম্বায় প্রায় সাড়ে ৭ ফুট, ওজন প্রায় ৬৫ কেজি।
তিনি আরও বলেন, মিঠা পানির কুমির হওয়ায় পদ্মা নদীতেও এরা থাকতে পারে। হয়তো পথ হারিয়ে কুমিরটি পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত নালা দিয়ে ডাঙায় চলে এসেছে। কিন্তু সৌভাগ্যবশত কুমিরটি কারও কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজমুল হক জানান, পুকুরে কুমির আসার খবর শুনে সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। তারা এসে কুমিরটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। কুমিরটিকে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে দেয়ার কথা জানান তিনি।
197