সময় এখন ডেস্ক:
ভোটার তালিকা প্রকল্পে বিভিন্ন সময়ে কাজ করা ৩০ জনকে ব্ল্যাকলিস্টেড করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাদের নতুন করে ভোটার তালিকা প্রকল্পে নিয়োগ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
গতকাল বুধবার ৩০ জনের এ তালিকা ইসি সচিবালয়ের সারাদেশের থানা, উপজেলা ও জেলা অফিসগুলোতে পাঠানো হয়েছে। একই চিঠিতে বর্তমানে মাঠপর্যায়ে কোনো ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরু’দ্ধে অভিযোগ থাকলে তা জানানোর জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, যেসব আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে জনবল সরবরাহ করে থাকে, তাদের কাছেও ৩০ জনের তালিকা পাঠানো হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, এই ৩০ জনকে যাতে নতুন করে নিয়োগের জন্য বিবেচনা না করা হয়।
কালো তালিকাভুক্ত ৩০ কর্মী হলেন- সাবেক টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মুন্সি সানজিদ বিন একলিম স্বাধীন, এসএম রকিবুজ্জামান নিয়ন, খান মো. ওবায়দুল্লাহ, আবদুল্লাহ আল মারুফ, সাদেক হোসাইন ও জাকির হোসাইন, সাবেক টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফ ইয়াসির আরাফাত, রফিকুল ইসলাম, ইকবাল হোসাইন ও আসিফ ইবনে আশরাফ,
সাবেক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আবুবকর সিদ্দিক, মারজিয়া আক্তার লিজা, শেখ সেলিম শান্ত, মো. সোলায়মান, জামাল উদ্দিন, সাবেদুল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম, জাকির হোসেন,
বাবুল আহমেদ, আবদুল জলিল মিয়া, ইকবাল হোসেন, রবিউল করিম, সুব্রত কুমার বিশ্বাস, সুমন দেব, ইউসুফ আলী চৌধুরী, ইকবাল আহমেদ, তারিক আজিজ, মোস্তাফা ফারুক ও সুতপা রানী এবং সাবেক মেসেঞ্জার আশিকুল ইসলাম।
ভোটার তালিকার কাজ করার জন্য টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফ ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে থাকে ইসি।
ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা ভোটারের উপস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসি ভবন থেকে প্রকল্পের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট শাহানুর মিয়াকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট আটক করে।
এর আগে চট্টগ্রাম থেকে ইসির অফিস সহকারী জয়নাল আবেদীন, টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফ মোস্তফা ফারুক, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর জাহিদ হাসান, পাভেল বড়ুয়া ও মো. শাহীন, জয়নালের বন্ধু বিজয় দাস ও বিজয়ের বোন সুমাইয়াকে আটক করা হয়।