জি কে শামীমের ২টি মামলা এখন র‌্যাবের হাতে

0

সময় এখন ডেস্ক:

অ’স্ত্র ও মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জি কে শামীমের বিরু’দ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের হওয়া পৃথক ২টি মামলার তদন্তভার র‌্যাবের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গতকাল মামলা দুটি র‌্যাবের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ছাড়া জি কে শামীমের বিরু’দ্ধে অর্থ পা’চার আইনে হওয়া মামলায় বিধি অনুযায়ী তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অন্যদিকে অ’স্ত্র মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড শেষে জি কে শামীমের ৭ দেহরক্ষীকে কারাগা’রে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমান চৌধুরী গতকাল এ আদেশ দেন।

একই দিন মানিলন্ডারিং আইনের পৃথক মামলায় দেহরক্ষীদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী।

অ’স্ত্র মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুর রহমান হাওলাদার আসামিপক্ষে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাকে আগামী রবিবার জামিন শুনানি করার অনুরোধ জানান।

আইনজীবী এতে সম্মতি প্রকাশ করলে সেদিন জামিন আবেদন শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়। আর অর্থপা’চার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান ৭ দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।

শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত। এ ৭ দেহরক্ষী হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আমিনুল ইসলাম।

গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে নিজ কার্যালয় থেকে রিমান্ডে থাকা আসামি জি কে শামীমসহ ৭ দেহরক্ষীকে আটকের সময় নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুর ডলার,

জি কে শামীমের মায়ের নামে ট্রাস্ট ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখায় প্রতিটি ২৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪টি এবং ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার একটি এফডিআর এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক মহাখালী শাখায় ১০ কোটি টাকা করে ৪টি এবং শামীমের নামে ট্রাস্ট ব্যাংক কেরানীগঞ্জ শাখায় ২৫ কোটি টাকার একটি এফডিআর জব্দ করা হয়।

এ ছাড়া ৩৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চেকবইও জব্দ করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারকালে এ বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি; এসবের বিপরীতে বৈধ কোনো নথিপত্রও দেখাতে পারেননি।

তারা উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পা’চার করার জন্য মজুদ রেখেছিল বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেদের সামনে স্বীকার করায় তাদের বিরু’দ্ধে নায়েব সুবেদার মো. মিজানুর রহমান মামলাটি দায়ের করেন। তাই এজাহারনামীয় এ আসামিদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!