জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমানকে এক নারী ঝাড়ুপেটা করেছেন। তার নাম রেনুয়ারা বেগম। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি চায়ের স্টলে একাধিক ব্যক্তির সামনে এ ঘটনা ঘটান তিনি।
রেনুয়ারার দাবি, ওই বিদ্যালয়ে গত ৫ বছর ধরে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছেন তিনি। স্থায়ী নিয়োগ পাওয়ার আশ্বাসে তিনি বিদ্যালয় সভাপতিকে দেড় লাখ টাকা ঘু’ষ দেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে ঝাড়ু দেওয়ার কাজ করছিলেন তিনি। এ সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে ঝাড়ু দিতে নিষেধ করেন এবং তার পরিবর্তে সভাপতির মেয়ে শামীমা আক্তারকে কাজে লাগানো হয়েছে বলেও জানিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বিদ্যালয়ের পাশেই নাজমুলের চায়ের স্টলে বসা আতাউর রহমানকে ঝাড়ুপেটা করতে থাকেন।
এদিকে ওই অ’প্রীতিকর ঘটনার কিছুক্ষণ পর জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু পূর্ব নির্ধারিত ছাদ ঢালাইয়ের কাজ উদ্বোধন করতে আসেন। তখন এলাকাবাসী তার কাছে রেনুয়ারা বেগমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চান। তখন সাংসদ ‘বিচার করতে আসেননি’ বলে জানালে স্থানীয়রা উ’ত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে সাংসদ ছাদ ঢালাই কাজ উদ্বোধন না করেই চলে যান।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ধলাহার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বলেন, রেনুয়ারা হাটে ঝাড়ুদারের কাজ করে। আমরা কখনই তাকে এ বিদ্যালয়ে কোনো আশ্বাসেই কাজে লাগাইনি।
আর চাকরি দেওয়ার নাম করে দেড় লাখ টাকা গ্রহণের বিষয়টিও মিথ্যা। আমাকে লা’ঞ্ছিত করার অভিযোগে ইতোমধ্যেই থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানও রেনুয়ারাকে কাজে লাগানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় মন্তব্য জানতে স্থানীয় সাংসদ অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদুর মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার খান জানান, অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আদালতের আদেশ পেলে মামলা হিসেবে রুজু করা হবে।