সময় এখন ডেস্ক:
নারী অফিস সহকারীর সঙ্গে আ’পত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর উপসচিব কবীরকে ডিসি পদ থেকে সরিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।
গত বুধবার ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী আহমেদ কবীরকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সিচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগ) মো. মনির উদ্দিন এ তথ্য জানান।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আহমেদ কবীরকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাসপেন্ড করার মাধ্যমে তার বিরু’দ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়ে গেছে। এরপর অন্যান্য ব্যবস্থাগুলো নেয়া হবে।
আহমেদ কবীরের নারী কেলে’ঙ্কারীর ঘটনায় গঠিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
গত মাসের শেষের দিকে জামালপুরের ডিসির একটি আ’পত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারী কর্মীকে অন্ত’রঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ওই ঘটনায় জামালপুরসহ সারাদেশের মানুষের মাঝে ক্ষো’ভ ছড়িয়ে পড়ে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে গত ২৫ আগস্ট আহমেদ কবীরকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ওই দিনই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একজন প্রতিনিধি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখার উপসচিব সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রথমে কমিটিকে ১০ কর্মদিবস সময় দেয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ না হওয়ায় কমিটি সময় আরও ১০ দিন বাড়িয়ে নেয়।
57