লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
দৈনন্দিন গৃহস্থালী কাজে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। কাজের চাপে চট করে সমাধান করাও যায় না অনেক সময়। অথবা জানা থাকে না এ থেকে উত্তরণের উপায়। তাই আপনাদের জন্য রইলো এই টিপসগুলো। ১০০ টিপস ৫টি পর্বে সাজানো হয়েছে। আজ এর প্রথম পর্ব প্রকাশিত হলো।
কাজের সময় সহজ সমাধান পেতে হাতের কাছেই রাখুন আর্টিকেলটি। শেয়ার করে প্রিয়জনকেও জানিয়ে রাখতে পারেন।
১। অনেকদিন বন্ধ থাকা বা অব্যবহৃত ঘর খুললে একটা ভ্যাপসা গন্ধ বের হয়। ২/৩টি দেশলাই কাঠি জ্বালালে ২/৩ মিনিটের মধ্যে ঘর থেকে গন্ধ চলে যাবে।
২। চিনির পাত্রের মধ্যে ২/৪টি লবঙ্গ দিয়ে রাখলে পিঁপড়ে ঢুকবে না।
৩। চশমা ঝকঝকে পরিষ্কার রাখতে হলে ১ ফোঁটা ভিনেগার দিয়ে কাঁচ পালিশ করুন।
৪। কাঠের আসবাবপত্র ঠাণ্ডা চা-পাতা ফোটানো পানি দিয়ে পালিশ করুন, ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
৫। ফ্রিজের গায়ে দাগ ধরে গেলে স্পঞ্জে টুথপেস্ট লাগিয়ে ঘষুন। দাগ উঠে যাবে।
৬। ফ্ল্যানেলের টুকরো (কম্বলের কাপড়) গ্লিসারিনে ভিজিয়ে দাগধরা জানালার কাঁচে ঘষুন, কাঁচ ঝকঝক করবে। কাঠ বা স্টিলের টেবিলে ঘষুন, সেখানকার দাগ উঠবে।
৭। জানালা, দরজার কাঁচ ঝকঝকে করে তুলতে চকের গুঁড়োর সঙ্গে পানি ও স্পিরিট অথবা কেরোসিন মিশিয়ে কিছুক্ষণ কাঁচের ওপর মাখিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে খবরের কাগজ দিয়ে মুছে নিন।
৮। ডিটারজেন্টের সঙ্গে একটা গোটা লেবুর রস ও ১ চামচ ফিনাইল মিশিয়ে বাথরুমের টাইলস ঘষে দেখুন, কেমন ঝকঝক করে।
৯। হাতব্যাগের ধাতব অংশগুলোতে ন্যাচারাল কালারের নেইল পলিশের এক প্রস্থ প্রলেপ দিয়ে রাখুন, সহজে বিবর্ণ হবে না।
১০। ছোট্ট এক টুকরো ফ্ল্যানেল বা কম্বলের কাপড়ে পাতি লেবুর রস মাখিয়ে চামড়ার ব্যাগ বা স্যুটকেসে ঘষলে চামড়ার ঔজ্জ্বল্য বাড়বে।
১১। ঘরে চড়ুই পাখি বাসা বাঁধতে চায়। ঘর নোংরা হওয়া থেকে রক্ষা পেতে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে ২/৪ টুকরো কর্পূর জ্বালিয়ে দিন, ঘরমুখো হবে না।
১২। গ্যাসস্টোভের বার্ণারে ময়লা ঢুকে গেলে পরিষ্কার করার সহজ উপায় হল অ্যালুমিনিয়াম স্টিল বা লোহার বালতিতে ফুটন্ত পানি ঢেলে তাতে ২ টেবিল চামচ ড্রেনেক্স (Drainex) পাউডার বা লিকুইড ভিম গুলে বার্ণার দুটি তার মধ্যে ২ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে ধুয়ে নিন।
১৩। গরম পোশাক বা সিল্কের পোশাক ধোয়ার পর যদি ইউক্যালিপ্টাস তেল মেশানো পানিতে চুবিয়ে নেন তাহলে পোকায় কাটার ভয় থাকবে না। পোশাকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে [১ বালতি পানিতে তেলের পরিমাণ হবে ২ টেবিল চামচ]।
১৪। উলের পোশাক ধোয়ার পর ১ বালতি পানিতে আধ চামচ গ্লিসারিন দিয়ে তাতে ডুবিয়ে নিন, পোশাকের নরম ভাব বজায় থাকবে।
১৫। বাচ্চাদের জামাকাপড় বা কাঁথায় যদি বমির দুর্গন্ধ থেকে যায়, কাচার পর পানিতে আধ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তাতে জামাকাপড় চুবিয়ে নিন। দুর্গন্ধ দূর হবে।
১৬। ইস্ত্রি করার সময় কাপড়ে যে পানি ছিটান তাতে কয়েক ফোঁটা পারফিউম ফেলে দিন, ইস্ত্রি হওয়া কাপড়ে সুগন্ধ থেকে যাবে।
১৭। সুগন্ধির শিশি সবসময় তুলো বা কাপড়ে জড়িয়ে রাখুন, তাতে সুগন্ধি অনেত বেশি দিন টিকবে।
১৮। ফ্লাক্সের ভেতরে অংশ ভালভাবে ধুতে হলে ফ্লাক্সে গরম পানি ভর্তি করে তাতে কয়েক টুকরো কাগজ ফেলে দিন। ঘণ্টাখানেক পর ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিয়ে পানি ফেলে দিন। ভেতরের যাবতীয় নোংরা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
১৯। অনেক সময় ভ্যাকুয়াম ফ্লাক্স দীর্ঘ ব্যবহারের জন্য দুর্গন্ধ হয়। একটি ডিমের খোসা ভেঙে ফ্লাক্সের মধ্যে ফেলুন।
২০। কিছু কিছু অলঙ্কারের তীক্ষ্ণ বা ধারালো প্রান্তের খোঁচায় পোশাক ছিঁড়ে যায় বা সুতো উঠে যায়। সেইসব ধারালো অংশে ন্যাচারাল কালারের নেইল পলিশ লাগিয়ে দিন, খোঁচা লাগবে না।
পড়ুন: ঘরোয়া বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০০ টিপস (পর্ব-২)
পড়ুন: ঘরোয়া বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০০ টিপস (পর্ব-৩)
পড়ুন: ঘরোয়া বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০০ টিপস (পর্ব-8)
পড়ুন: ঘরোয়া বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০০ টিপস (পর্ব-৫)
সময় এখন এর পাতায় লাইক দিয়ে পাশে থাকুন, ১০০ টিপসের বাকিগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে প্রতিদিন।