স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশের হয়ে ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ৯টি। ২০০১ থেকে ২০০৭ সালের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মোট ১৯টি ম্যাচ খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে সফল বোলার মোহাম্মদ শরীফ।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৩২ ম্যাচ খেলে ৩৯৩টি উইকেট শিকার করেন ডানহাতি এই পেসার। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২১তম আসর সামনে রেখে এই অভিজ্ঞ বোলার জানিয়েছেন, লিগে ভালো মানের বল চান।
দেড় যুগের বেশি সময় ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছেন শরীফ। অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। জাতীয় লিগের নতুন আসর শুরুর আগে তিনি বলেন, একটা কথা বলতে চাই ঠিক হবে কিনা জানি না, তবু বলাটা জরুরি। ভালো বল দিয়ে যেন খেলা হয়। বলের মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময়ই বল খুব দ্রুত নরম হয়ে যায়। এমনিতেই উইকেট থেকে বোলাররা কোনো সহায়তা পান না। তার পর যদি বলও নরম হয়ে যায়, তখন বোলারদের কিছু করার থাকে না। গত ২-৩ বছরে এমনটা অনেকবার হয়েছে, ৪-৫ ওভারের মধ্যে নতুন বল বদলাতে হয়। বলের মান কেমন থাকে সেখান থেকেই বোঝা যায়। এদিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমরা এসজি বল দিয়েই খেলি। কিন্তু বলটি সেরা মানের কিংবা গ্রেড ওয়ান কিনা, আমার জানা নেই। হতে পারে গ্রেড ওয়ান বল। অনেক সময় আমরা ভালো বল না-ও পেতে পারি। পুরনো হয়ে যেতে পারে, যারা বলটা দিচ্ছেন হয়তো না বুঝেই দিচ্ছেন। বল ভালো থাকলে উইকেট একটু শুষ্ক থাকলেও মানিয়ে নেওয়া যায়।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা কোকাবুরা বল এবং ভারত থেকে আনা এসজি বলে খেলে থাকেন ক্রিকেটাররা। তবে কখন কোন বলে খেলা হবে সেটি নির্ভর করে সামনে কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
এবারের এনসিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের খেলা বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা সবাই খেলবেন এ লিগে। এ টুর্নামেন্টকে আরও জমজমাট করার স্বার্থে খেলোয়াড়দের ফিটনেসের ব্যাপারেও কঠোর হয়েছে বিসিবি। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ব্লিপ টেস্টে অন্তত ১১ স্কোর পেতে হবে। তাতেই মিলবে এনসিএলে খেলার সুযোগ।
এ নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় বেশ আলোচনা হচ্ছে। কেননা ৩৫ বছর পেরিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা উতরানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে। শরীফ মনে করেন, ফিটনেসর প্রস্তুতি জন্য ক্রিকেটারদের অন্তত ১ মাস সুযোগ দেওয়া উচিত। তবে সেটি এখন হচ্ছে না।
এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ ও ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে অধিকাংশ ক্রিকেটার ব্লিপ টেস্টে স্কোর ১১ ওঠাতে পারেননি।
জাতীয় লিগে খেলোয়াড়দের ফিটনেসের প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, মূল সমস্যা হচ্ছে খেলোয়াড়দের ফিটনেস ঘিরে। ক্রিকেটারদের ফিটনেসে খুশি নন কোচও। স্বাভাবিকভাবেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাপন জানান, যদি আমরা লেভেলটা ঠিক না করি, এত কম রাখি তাহলে এই ৯/১০ই তো আসবে জাতীয় দলে। আমাদের তো এখানে তা হলে লাভ হচ্ছে না। সে কারণে চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি আজকে পত্রপত্রিকায় দেখেছি এটি নিয়ে বেশ কয়েকটি রিপোর্ট এসেছে।
এখন দেখা যাক…। আমরা বুঝে শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফিটনেস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটাতে সবারই নজর দিতে হবে। আমি মনে করি যে আমাদের দলের ফিটনেস অবশ্যই উন্নতি করতে হবে।