অর্থনীতি ডেস্ক:
পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকায় গতকাল রোববার ৪৮ টাকা দরে পাওয়া গেলেও আজ ৭০ টাকা দরেও পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না- এমনটাই বলছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে আমদানিকারকদের কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে ভিন্ন সুর। তারা বলছেন ভারতেও নাকি পেঁয়াজ সংকট। দাম বেড়ে যাওয়ায় দিল্লি মুম্বাইয়েও নাকি খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি ব্যবসায়ী আহম্মদ আলী জানান, হিলি বন্দরের পেয়াজ আমদানিকারকরা বন্দরের বিভিন্ন বেসরকারি গুদামে পেঁয়াজ মজুদ করে রেখে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টিসহ দাম বৃদ্ধি করছে। তারা পাইকারি পেঁয়াজ ক্রয় করতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে। গুদামে পেঁয়াজ মজুদ থাকার পরও বিক্রয় করছেন না। তারা মজুদদার পেঁয়াজ আমদানিকারকদের বিরু’দ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য র্যাবসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি সংগঠনের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, হিলি স্থল বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছিলাম। এতে আমাদের বাংলাদেশের বাজারে প্রভাবও পড়েছিল। আমাদের চাহিদার তুলনায় মাল নিয়ে আসা শুরু করেছিলাম। এক্সপোর্টারকে চাপ দিয়েছিলাম। এক্সপোর্টার বেশি বেশি মাল দেওয়াও শুরু করেছিল। বাজারে এর প্রভাবও পড়েছিল। যে মাল বিক্রি করতাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় সেটি ৪৮ থেকে ৫২ টাকা হয়ে গিয়েছিল।
শেখ হারুনুর রশীদ আরও বলেন, ভারতীয় বাজারেও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের যেমন টিসিবি বাংলাদেশের পাবলিককে কম দামে খাওয়াচ্ছে। তেমনি ভারতের এমন একটি সংস্থা আছে যারা দিল্লী, বোম্বে বিভিন্ন খোলা বাজারে কমদামে খাওয়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কাস্টমসে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে তারা এক্সপোর্ট করবে না।
একই প্রসঙ্গে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নাজমুল হক বলেন, হঠাৎ করে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। যেসব গাড়ি রাস্তায় আছে সেসব গাড়ি ঢুকতে পারবে না। এটা ভারত সরকারের অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত। আমাদের এলসিগুলো পাইপ লাইনে আছে, কতগুলো এলসির টেন্ডার হয়েছে, সে মালগুলো গেটে এসেছে। সে মালগুলো গেট থেকে ব্যাক করে দিয়েছে।
94