সময় এখন ডেস্ক:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খু’নি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পেতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় গতকাল রোববার জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে যুক্তরাষ্ট্র সফরের শেষ দিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা জানান।
এদিন শেখ হাসিনা বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মধ্যাহ্নভোজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কিছু সময় কথোপকথন হয়। ওইদিন একই টেবিলে মধ্যাহ্নভোজ সারি আমরা। এ সময় আমি একটি ফাইল হস্তান্তর করেছি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।
বিষয়টি আরও খোলাসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার খু’নিরা যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছে। তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমি মূলত এ বিষয়েই তাকে চিঠি দিয়েছি।
এ সময় দেশে চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, বস্তায় বস্তায় টাকা লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। ওয়ান ইলেভেনের সময়ও আমরা এমনটাই দেখেছিলাম। দেশে ওয়ান ইলেভেনের মতো পরিস্থিতি যাতে আর সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি। দেশে আর কোনো ওয়ান ইলেভেন হতে দেব না। কোনো অন্যায় হলে তার ব্যবস্থা আমি নিজেই নেব। সেটা যেই হোক। বিচার করতে হলে আগে ঘর থেকেই শুরু করতে হয়। আমিও তাই শুরু করলাম।
চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক দিন ক্ষমতায় থাকলে তার কু-প্রভাব যাতে দল বা সমাজের মধ্যে না পড়ে, সেটাও আমাকে দেখতে হবে। এ কারণেই আমি অভিযান চালাচ্ছি। অনেকেই আমার ওপরে অখুশি হতে পারে। তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
দুর্নীতির বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরেকটা জিনিস আমি দেখতে বলে দিয়েছি- সেটা হলো কার আয়-উপার্জন কত? কীভাবে জীবনযাপন করে? সেগুলো আমাদের বের করতে হবে। এখন আমাকে খুঁজে বের করতে হবে এখানে কোথায় ফাঁকফোকর, কোথায় ঘাটতিটা, কারা কোথায়, কীভাবে এই জায়গাটা ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
‘তাহলে আমরা সমাজ থেকে এই ব্যাধিটা, একটা অসম প্রতিযোগিতার হাত থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে পারব, আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারব,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।
এর আগে জাতিসংঘে তার ৮ দিনের কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত জানান শেখ হাসিনা।
641