বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার পাথরঘাটায় বোরকা পরিহিত অবস্থায় এক মসজিদের ইমামকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
গত শনিবার রাত ১১টার দিকে পাথরঘাটা পৌরশহরের হাসপাতাল সড়ক থেকে তাকে সন্দেহজনক অবস্থায় পেয়ে লোকজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আটক করা হয়। তার নাম আতাউর রহমান। তিনি পাথরঘাটা কলেজ ক্যাম্পাস মসজিদের ইমাম ও মারকাজ মাদ্রাসার শিক্ষক এবং উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি এলাকার লুৎফুর রহমানের ছেলে।
আটকের পর স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা’বাদে ইমাম আতাউর জানান, তখন তিনি শয়তানের প্ররোচনায় বোরকা পরেছিলেন। পাথরঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, শনিবার রাত ১১টার দিকে পশু হাসপাতালের সামনে ব্রাঞ্চ রোডে এক ব্যক্তি বোরকা পরা অবস্থায় ঘোরাঘুরি করছিলেন অনেকক্ষণ ধরে। তাকে দেখে স্থানীয়দের মনে সন্দেহের উদ্রেক হয়। তার শারীরিক গড়ন এবং হাঁটার ধরন দেখে তাকে নারী বলে মনে হচ্ছিলো না, আর এতেই সন্দেহ সৃষ্টি হয় স্থানীয়দের মাঝে।
এতে তারা এগিয়ে যান তার কাছে। তখন কোথায় ও কার কাছে যাবেন- জানতে চাইলে ইমাম আতাউর অবস্থা বেগতিক বুঝে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় মোহাম্মদ সুমন মিয়া নামের একজন তাকে ধরে ফেলেন। পরে বোরকা পরা ব্যক্তি নিজেকে কলেজ মসজিদের ইমাম পরিচয় দেন।
এই ঘটনার কথা জানানো হয় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান রুকুকে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনস্থলে আসেন, সব শুনে তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান রুকু জানান, জিজ্ঞাসা’বাদে ইমাম আতাউর বলেছেন, তিনি শয়তানের প্ররোচনায় বোরকা পরেছিলেন। পরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
বরগুনা জেলা ইমিম সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল জানান, কলেজ মসজিদের ইমাম আতাউর রহমানের বিরু’দ্ধে উ’গ্রপন্থিদের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ তাদের কাছে আছে।
তিনি আরও জানান, আটক ইমাম কোনো অ’পকর্মে জড়িত থাকলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। কেননা তিনি আলেম-ওলামাদের সম্মান নষ্ট করেছেন।