সময় এখন ডেস্ক:
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই সোনার বাংলা বিনির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের এতদিনের সংগ্রামে যারা অ’ন্তরায় হয়ে থাকবেন, যারা প্রতিব’ন্ধকতা তৈরি করবেন, যারা ক’লুষিত করবেন, দল-মত-আত্মীয়-পরিবার আমি দেখতে চাই না। বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যত ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার দরকার আমরা সেই পদক্ষেপ নেব।’
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গণতন্ত্রী পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে আমরা অনেকেই হতাশার কথা বলছি। অনেকেই সামনে অন্ধকার দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজও বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে যেভাবে আমার পরিবারের সকল সদস্যকে হ’ত্যা করা হয়েছে, আমার তো হারানোর কিছু নাই।
আমি বাংলাদেশে বেঁচে আছি, বাংলার ১৬ কোটি মানুষের জন্য; বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সে সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্য। এই সোনার বাংলা বিনির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের এতদিনের সংগ্রামের ক্ষেত্রে যারা অ’ন্তরায় হয়ে থাকবেন, যারা প্রতিব’ন্ধকতা তৈরি করবেন, যারা ক’লুষিত করবেন, দল-মত-আত্মীয়-পরিবার আমি দেখতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যত ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার দরকার, আমরা সেই পদক্ষেপ নেব। আমাদের আস্থা, আমাদের বিশ্বাসের জায়গা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বাংলার ১৬ কোটি মানুষ শেখ হাসিনার প্রতিটি পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছে।
আমি আশা রাখি, জননেত্রী শেখ হাসিনা যে অভিযান শুরু করেছেন, এই শুদ্ধি অভিযানে যদি আমরা জয়যুক্ত হতে পারি তাহলে ১৪ দল আমরা গর্ব করে বলতে পারব, যে মহৎ উদ্দেশ্যে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল আমরা সেই সংগ্রামে বিজয়ী হয়েছি। বাংলার মানুষকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সোনার বাংলা উপহার দিতে পেরেছি।
নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা বলতে পারি, যারা বাংলাদেশের আইনকে চ্যালেঞ্জ করে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছিল, যারা বাংলাদেশের সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছিল, যারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছিল, পাকিস্থানি ভাবধারায় একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র তৈরি করার চেষ্টা করেছিল, আজকে আমরা বলতে পারি, আমরা তাদের সেই দুরভিসন্ধি ব্যর্থ করে দিয়েছি। তারা আজ রাজনীতির ধারায় এসেছে, গণতন্ত্রের ধারায় আসতে বাধ্য হয়েছে। নির্বাচনের ধারায় এসেছে এবং সাংবিধানিক ধারায় এসে কথা বলতে বাধ্য হয়েছে। এটাই হচ্ছে ১৪ দলের সংগ্রামের একটি মাইল ফলক।
গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মাহমুদুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
357