চট্টগ্রাম ব্যুরো:
পেঁয়াজের ঝাঁজে চোখের পানিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পরদিনই চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অ’বিশ্বাস্যভাবে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩৫-৪০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়।
মজুদের বিরু’দ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বুধবার (২ অক্টোবর) অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার মুরগিহাটা এলাকার রড সিমেন্টের গুদাম থেকে জ’ব্দ করেন ৫ টন পেঁয়াজ। দুপুরে হাজী আমির হোসেনের মালিকানাধীন ওই গুদামে অভিযান চালান তিনি।
হাটহাজারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, অভিযানে ৫ টন পেঁয়াজ জ’ব্দ করা হয়েছে। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি লাভের আশায় পেঁয়াজ মজুদ করা হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন গুদামের মালিক হাজী আমির হোসেন।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির আভাস পেয়েই গত ১১ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে আনা প্রায় ৫ টন পেঁয়াজ রড-সিমেন্টের গোডাউনে অ’বৈধভাবে মজুদ রেখেছিলেন ব্যবসায়ী আমির হোসেন।
তবে কি দামে তিনি এ পেঁয়াজ কিনেছিলেন তার কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। অভিযানে ব্যবসায়ী আমির হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরি’মানা করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে পেঁয়াজের দাম বেশি রাখায় ৪৬ হাজার টাকা জরি’মানা
লক্ষ্মীপুর শহরে সিন্ডিকেট করে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে দুই আড়ৎসহ ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৬ হাজার টাকা জরি’মানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ আদেশ দেন।
এদিন তিনি শহরের মাছ বাজার, ভক্তের গলি ও ধান হাটাসহ শহরের বিভিন্ন মুদি দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সহ-সভাপতি আবদুল আজিজ এবং ফল সমিতির সভাপতি এমরান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, সরকারি ভাবে পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য ৬৮ ও খুচরা মূল্য ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এর চেয়ে ২৫-৩০ টাকা বেশিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
এ অভিযোগে শহরের মাছ বাজার, ভক্তের গলি ও ধান হাটাসহ কয়েকটি দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ভোক্তা অধিকার আইনে ২টি আড়ৎসহ ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৬ হাজার টাকা জরি’মানা করা হয়েছে।
এর মধ্যে সোনালী স্টোর আড়তের মালিক লতিফ মিয়ার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা ও অন্য একটি আড়ৎ থেকে ২০ হাজার টাকা জরি’মানা আদায় করা হয়। এছাড়া মূল্য তালিকা না থাকায় সোলেমান স্টোর ও জিয়া স্টোর নামে ২টি মুদি দোকানকে ১ হাজার টাকা জরি’মানা করা হয়েছে।
ইউএনও শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল বলেন, সরকারিভাবে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।