চট্টগ্রাম ব্যুরো:
পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে! সেই অবস্থায় হয়েছে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর বিশ্বজিৎ বড়ুয়ার। জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে আসা এক ছাত্রলীগ কর্মীর কাছে ৫ হাজার টাকা ঘুষ চেয়ে এখন নিজের চাকরি নিয়েই টানাটানি চলছে তার।
মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ বড়ুয়ার বিরু’দ্ধে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ছাত্রলীগ কর্মী আদিল হাসান।
অভিযোগ পেয়ে বিশ্বজিৎ বড়ুয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মী আদিল জানান, আজ (মঙ্গলবার) সকালে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জন্ম সনদ সংশোধন করতে গিয়েছিলেন তিনি। এ সময় উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী (কম্পিউটার অপারেটর) বিশ্বজিৎ বড়ুয়া তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরি’মানা দাবি করেন।
অভিযোগকারী আদিল হাসান তার অভিযোগপত্রের সঙ্গে ঘটনার ভিডিও ক্লিপও সংযুক্ত করেছেন, যার একটি কপি এসেছে গণমাধ্যমের হাতে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, জন্ম নিবন্ধন সনদের তারিখ পরিবর্তনের এখতিয়ার শুধু জেলা প্রশাসকের। ইউএনও সাধারণ নাগরিকদের আবেদন ডিসি অফিসে শুধু ফরোয়ার্ড করেন। আমার গোপনীয় সহকারী এই কাজ করেন।
অথচ দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারী বিশ্বজিৎ উপজেলা পরিষদের স্টাফ হিসেবে পরিষদের কিছু রুটিন কাজ করেন। সেবাগ্রহীতাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা চেয়ে থাকে। এমন অভিযোগ আগেও পেয়েছি তার বিরু’দ্ধে।
তিনি আরও বলেন, আজকের সেবাপ্রার্থী ভুলে তার কাছে গেছেন। এ সময় তিনি ওই সেবাপ্রার্থীর কাছে ৫ হাজার টাকা চান। বিষয়টি আমাদের অবাক করেছে। অভিযুক্তের বিরু’দ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে এ প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ বড়ুয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি উপজেলা পরিষদের অন্য কোনো কর্মকর্তাও এ প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
জাগো নিউজের সৌজন্যে ভিডিও: