নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় বেকারিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েছে ৫ ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট। তাদের আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার চান্দাশ ইউনিয়নের বাগডোব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটকরা হলেন- ঢাকার মিরপুরের মনির উদ্দিনের ছেলে নয়ন (৩১), দিনাজপুরের রমজান সরকারের ছেলে আনন্দ সরকার (২৬), নারায়ণগঞ্জের আব্দুর রশিদের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪০), চাঁদপুরের আবুল হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪২) ও মাইক্রোবাসের চালক ঝালকাঠির আলম খানের ছেলে রুবেল হোসেন (২৮)।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চান্দাশ ইউনিয়নের বাগডোব এলাকার ‘রূপালি বেকারিতে’ অভিযান চালান ৫ যুবক। এরপর দোকান মালিককে ২ লাখ টাকা জরি’মানা করা হবে বলে ভয়ভীতি দেখান তারা। ২ লাখ টাকা জরি’মানার কথা শুনে দোকানদারের মনে সন্দেহ হয়।
এ সময় আশপাশের লোকজন সেখানে জমায়েত হয়। অতিরিক্ত লোকজন দেখে কৌশলে মাইক্রোবাস নিয়ে সটকে পড়ার চেষ্টা করেন তারা। স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ওই ৫ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মহাদেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরু’দ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এটি একটি প্র’তারক চক্র। বিভিন্ন জায়গায় ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিল তারা।
চট্টগ্রামে রড-সিমেন্টের দোকানে মজুদ ৫ টন পেঁয়াজ
পেঁয়াজের ঝাঁজে চোখের পানিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পরদিনই চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অ’বিশ্বাস্যভাবে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩৫-৪০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়।
মজুদের বিরু’দ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বুধবার (২ অক্টোবর) অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার মুরগিহাটা এলাকার রড সিমেন্টের গুদাম থেকে জ’ব্দ করেন ৫ টন পেঁয়াজ। দুপুরে হাজী আমির হোসেনের মালিকানাধীন ওই গুদামে অভিযান চালান তিনি।
হাটহাজারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, অভিযানে ৫ টন পেঁয়াজ জ’ব্দ করা হয়েছে। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি লাভের আশায় পেঁয়াজ মজুদ করা হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন গুদামের মালিক হাজী আমির হোসেন।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির আভাস পেয়েই গত ১১ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে আনা প্রায় ৫ টন পেঁয়াজ রড-সিমেন্টের গোডাউনে অ’বৈধভাবে মজুদ রেখেছিলেন ব্যবসায়ী আমির হোসেন।
তবে কি দামে তিনি এ পেঁয়াজ কিনেছিলেন তার কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। অভিযানে ব্যবসায়ী আমির হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরি’মানা করা হয়েছে।