নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল এলাকায় প্রসাধনী সামগ্রী ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার নকল ও মানহীন পণ্য আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রাত ১১টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের পর এসপি বলেন, মুনস্টার মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড ও ম্যাক্স ইলেকট্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে নকল প্রসাধনী ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য তৈরি করে আসছিল।
প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক ধানমণ্ডির বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন। তিনি এসব নকল প্রসাধন সামগ্রী ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বাজারজাত করেন। আমরা খবর পাওয়ার পর রাত ১১টায় অভিযান চালাই। অভিযানকালে বেলায়েতকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি পলাতক থাকলেও তার প্রতিষ্ঠানের স্টাফসহ ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন- অহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, সোহাগ, আমিনুল ইসলাম, রাজীব, মাইনুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ও সাইফুল ইসলাম।
হারুন অর রশিদ আরও জানান, কারখানাটিতে ময়লা পানি, রঙ ও সেন্ট দিয়ে জাপান, ইন্ডিয়া, চায়না, লন্ডন, আমেরিকা, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের নামে প্রসাধনসামগ্রী বানানো হচ্ছিল। কোবরা, ফগ, রয়েল এয়ার ফ্রেশনারের মতো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে এসব পণ্য এখান থেকে বাজারজাত করা হতো।
তিনি বলেন, পরে আরেকটি গোডাউনে গিয়ে দেখি সেখানে ৬৫ ইঞ্চি, ৭০ ইঞ্চি টিভি বানানো হচ্ছে। সনি, স্যামসাং, এলজি, প্যানাসনিকসহ বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে এখানে টিভি ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন তৈরি হচ্ছিল। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম থাকলেও এগুলো সব ভুয়া। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এদের দ্বারা প্র’তারিত হচ্ছে। এসব প্র’তারক চক্র বিশাল বড় গোডাউনে এসব তৈরি করছে এবং সরকারের বিশাল অঙ্কের ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে।
এসপি বলেন, তাদের সেন্ট ও প্রসাধনীগুলো খুবই বাজে। মানুষ এসব ব্যবহার করলে তাদের চামড়া নষ্ট হয়ে যাবে। এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে এসপি আরও বলেন, মানুষকে প্র’তারিত করা হচ্ছে, এমন আইনে আমরা মামলা নেব। এ কাণ্ডের মূল হোতাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। জব্দ করা পণ্যের মূল্য আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা বলে জানান তিনি।
91