সীতাকুণ্ডে পলাতক অবস্থায় ৪৫ রোহিঙ্গা আটক

0

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে লুকিয়ে থাকা ৪৫ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকার মোল্লা বাড়ির মোবারক সওদাগরের কলোনি থেকে তাদের আটক করা হয়। এ বিষয়ে মামলা করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, ৪৫ রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে ওই কলোনিতে অবস্থান নিয়ে বেসরকারি একটি কারখানায় কাজ করছিল। গোপন সূত্রে বিষয়টি জানার পর সীতাকুণ্ড থানার ওসি দেলওয়ার হোসেনের দিকনির্দেশনায় এসআই টিবলু কুমার মজুমদার ও এসআই হারুনুর রশিদ রোহিঙ্গাদের অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হন।

তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ ও ওসি (ইন্টেলিজেন্স) সুমন বণিক ফোর্স নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। তার পর কলোনিতে থাকা ৪৫ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।

সীতাকুণ্ডে থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ জানান, উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে পালিয়ে ওই রোহিঙ্গারা সীতাকুণ্ডের কেশবপুর এলাকায় অবস্থান নিয়েছিল।

তাদের বিরু’দ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরু’দ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে

অনলাইন ক্যাসিনোগুরু সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তাকে নিয়ে বাসা ও অফিসে দিনভর অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। তিনি ৩টি ব্যাংকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচা’র করতেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া ক্যাসিনোর টাকা লেনদেনের একটি গেটওয়ে শনাক্ত করেছে র‌্যাবের তদন্তকারী দল। উ’দ্বেগের বিষয় হলো, ক্যাসিনোর আরও অন্তত ১৫টি চক্রের সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। তাদের বিরু’দ্ধে অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।

তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ অভিযান শুরু করেছে দুর্নীতির বিরু’দ্ধে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দলীয় নেতাদের বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযানকে সাধারণ মানুষ ইতিবাচক হিসেবে দেখছে, তবে এটি শেষ পর্যন্ত কতটা সফল হবে সেই প্রশ্নও সামনে এসেছে।

জনগণ চায় শুধু ছাত্রলীগ-যুবলীগ নয়, অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত রাঘববোয়ালদের সবাইকে যেন আইনের আওতায় আনা হয়। এই অভিযান যেন কিছুসংখ্যক ব্যক্তিকে ধরপাকড়ের মধ্যেই সীমিত না থাকে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, দুর্নীতির বিরু’দ্ধে সরকারের যে পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে সেটা চলমান থাকলে প্রকৃত দোষীদের কোনোক্রমেই রক্ষা পাওয়ার কথা নয়। বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা গেলে পরবর্তীকালে দুর্নীতি করার সাহস হবে না।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশাসন ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের যেসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অ’পকর্মের তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

শুধু রাজধানী বা বন্দরনগরীতে অভিযান নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যারা সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে দখলবাজি-চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে তাদের বিরু’দ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, এমনটাই অভিমত বিশিষ্টজনের।

শেয়ার করুন !
  • 822
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!