ঢাকায় লাদেন-জাওয়াহিরির ঘনিষ্ঠ দোসর আতিকুল্লাহ গ্রেপ্তার

সময় এখন ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক জ’ঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার শীর্ষ নেতা লাদেনসহ একাধিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসা হুজির (হরকাতুল জি’হাদ বাংলাদেশ) সৌদি আরব ফেরত শীর্ষ নেতাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ-২ এর বড় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার (৪৯), মো. বোরহান উদ্দিন রাব্বানী (৪২) ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম (৪৩)।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসা’বাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মো. আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার হুজিবি-র মুফতি হান্নানের ১৯৯৬ সালে গঠিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে বায়তুল মাল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দায়িত্বশীল ছিলেন।

গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথমদিকে তিনি দুবাই হয়ে সৌদি আরব পালিয়ে গিয়ে আত্মগো’পন করেন এবং সাংগঠনিক কাজে একাধিকবার পাকিস্থান গমন করেন।

তাদের জিজ্ঞাসা’বাদে তিনি (মাসুদুর) আরও জানান, আতিকুল্লাহ আফগান ফেরত জ’ঙ্গি এবং বি’স্ফোরক বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘদিন বিদেশে পলাতক থেকে এ বছর মার্চে দেশে ফিরে সংগঠনের পুরাতন সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় করা এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ করে সংগঠনের কার্যক্রম চালু করার মিশন নিয়ে ব্যাপক কর্মতৎপরতা চালান।

পাকিস্থান, দুবাই ও সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের জ’ঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। তিনি আফগানিস্তানে যু’দ্ধকালীন সময়ে ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, আইমান আল জাওয়াহিরিসহ শীর্ষ জ’ঙ্গি নেতাদরে সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

ইতিমধ্যে তিনি সংগঠনকে গতিশীল করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সফর করে এবং দেশী-বিদেশি বিভিন্ন উৎস হতে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিল।

এ ছাড়া অপর ২ জন মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি এবং মো. বোরহান উদ্দিন রাব্বানী ফেনী জেলার দায়িত্বশীল ছিল বলে জানা যায়।

গ্রেপ্তার হুজি সদস্যরা বর্তমানে কাশ্মীর সমস্যা এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে পরস্পর যোগসাজশে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত ছিল।

এ সংক্রান্তে অপরাধে তাদের বিরু’দ্ধে খিলক্ষেত থানায় সন্ত্রা’স দমন আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান মাসুদুর রহমান।