সময় এখন ডেস্ক:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি (বহি’স্কৃত) ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেপ্তারের পর সকালে তাকে রাখা হয়েছে র্যাব সদর দপ্তরে।
রোববার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী সম্রাটকে নিয়ে কাকরাইলে তার একটি কার্যালয়ে অভিযান চালাবে র্যাব।
সে লক্ষ্যে কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারের ৪র্থ তলায় সম্রাটের যে কার্যালয় রয়েছে সেটি ঘিরে রেখেছে র্যাব। র্যাব সূত্রে অভিযানের খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে র্যাব।
রোববার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আত্ম’গোপনে থাকা সম্রাটকে। সম্রাটের সঙ্গে আরমান নামে তার এক সহযোগীকেও আটক করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসা’বাদও করেছে র্যাব।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যে এলাকা থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামটি সীমান্তের কাছাকাছি। ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। তাকে গ্রেপ্তার করতে যদি আর কিছুটা দেরি হতো, ততক্ষণে তিনি সীমানা পেরিয়ে ওপাড়ে চলে যেতেন।
ক্যাসিনোবিরো’ধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যেই তার দেশ’ত্যাগেও নিষে’ধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর শনিবার রাত থেকেই তার গ্রেপ্তার হওয়ার খবর আসলেও রোববার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সম্প্রতি রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অ’বৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
এর পর ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা (সাবেক যুবদল নেতা) জি কে শামীম। এ দুজনই অ’বৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিজ্ঞাসা’বাদে সম্রাটের ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। এরপর গা ঢাকা দেন যুবলীগ নেতা সম্রাট।
390