সময় এখন ডেস্ক:
ক্যাসিনো-কাণ্ডে গ্রেপ্তার সদ্য বহি’ষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের মহাখালীর বাসায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব।
এ সময় সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, সম্রাট সফট মাইন্ডের লোক। তার কাছে অ’স্ত্র থাকতে পারে না। আর রাজধানীতে বিদেশি স্টাইলের এতো ক্যাসিনো ছিল সেটা তো আমি জানতামই না।
যোগাযোগ না থাকার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার সাথে ওর একটু মিলতো কম। ও ছেলেপুলে নিয়েই থাকতে বেশি পছন্দ করত। আরো চাইতো না আমি কোনো ক্যামেরার সামনে আসি আমি, ওপেন ফেস হই। আর আমি শুরু থেকে নামাজ পড়তে পছন্দ করতাম, বাসায় থাকতে পছন্দ করতাম। ও চাইত আমি যেন এভাবেই চলি, মানুষের সামনে না যাই।
উল্লেখ্য, ক্যাসিনো-কাণ্ডে গ্রেপ্তার সম্রাটের ৩ জন স্ত্রী রয়েছেন। এর মধ্যে ১ জন বিদেশি স্ত্রী আছে বলেও জানা গেছে। পারিবারিক সূত্র জানা গেছে, সম্রাটের ২ স্ত্রী। প্রথম পক্ষের স্ত্রী বাড্ডায় থাকেন। প্রথম পক্ষে সম্রাটের এক মেয়ে। তিনি পড়াশোনা শেষ করেছেন।
সম্রাটের ২য় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী মহাখালীর ডিওএইচএসে থাকেন। তার ১ ছেলে। তিনি মালয়েশিয়ায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
সিঙ্গাপুরে সম্রাটের বিদেশি একজন স্ত্রী আছে বলেও পারিবারিক সূত্রটি জানায়। তবে ওই স্ত্রীর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সূত্রটি জানিয়েছে, সম্রাট মহাখালীতে ২য় স্ত্রীর বাসাতেই স্থায়ীভাবে থাকতেন।
তবে ২ বছর ধরে তিনি বাসায় যেতেন না। কাকরাইলে নিজের কার্যালয়ে থাকতেন। তবে বাসার বাইরে থাকলেও গাড়ির চালকের খরচসহ পরিবারের সব খরচ দিতেন সম্রাট।
আগে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গেলেও দু’বছর ধরে সম্রাট তাকে সাথে নেয় না বলে জানান শারমিন চৌধুরী। বলেন, দু’বছর ধরে সিঙ্গাপুরে নেয় না, ওখানে বোধহয় একটা চায়না প্লাস মালয়েশিয়ান মিক্স একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক হয়েছে। ও গেলে তার সাথেই সময় কাটায় আরকি।
304