সময় এখন ডেস্ক:
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহি’ষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে র্যাব।
রোববার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে।
এ সময় কার্যালয়টি থেকে অ’বৈধ অ’স্ত্র, ৬ রাউন্ড গু’লি, ম্যাগাজিন, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, বিদেশি মদ, ১১শ’ ইয়া’বা, নির্যা’তন করার ইলেকট্রিক যন্ত্র, চা’কু, লাঠি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ৬ মাসের সাজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
এর আগে ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আত্ম’গোপনে থাকা সম্রাটকে। তার সঙ্গে আরমান নামে তার এক সহযোগীকেও আটক করা হয়।
ইসমাইল হোসেন সম্রাটের বিরুদ্ধে কতগুলো মামলা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব বলেন, তার বিরুদ্ধে কতগুলো মামলা হয়েছে তা এখনই বলতে চাই না। বা তার সঙ্গে আরো কারা কারা জড়িত সেটি রিমান্ডে নেয়ার পর বলতে পারব।
এদিকে ক্যাসিনোবিরো’ধী অভিযান শুরুর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সম্রাটপত্নী। তিনি বলেন, আমাদের দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে এই অভিযানের জন্য ব্যক্তিগতভাবে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাবো। তিনি যদি আরও আগে উদ্যোগ নিতো তাহলে আরও ভাল হতো। সম্রাটও তাহলে ধরা পড়ত আরও আগে।
সম্রাট নিয়মিত সিঙ্গাপুর কেন যেতেন- এমন প্রশ্নের জবাবে শারমিন চৌধুরী বলেন, ও সিঙ্গাপুরে জুয়া খেলতেই যেত। জুয়া খেলা ওর নে’শা, কিন্তু সম্পদ জমানো বা দোকান, গাড়ি এগুলো তার নে’শা না।
শারমিন জানান, ২ বছর ধরে সম্রাটের সাথে তার যোগাযোগ নেই। তার দাবি, ওর সম্পদ বলতে কিছুই নাই। ও যা ইনকাম করে ক্যাসিনো চালিয়ে, সব দলের জন্য খরচ করে। দল পালে, আর যা থাকে তা দিয়ে সিঙ্গাপুরে জুয়া খেলে। সম্পদ বলতে কিছুই নেই। আগে যেমন ছিল এখনও তেমন। সম্রাটের কোনো টান নেই ফ্ল্যাট, বাড়ি, গাড়ির প্রতি। ওর একমাত্র নে’শা জুয়া খেলা।