অ’পকর্ম ঠেকাতে ইসি অফিসে বসছে ফেস রিকগনিশন মেশিন

0

সময় এখন ডেস্ক:

জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভার রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ছাড়াও কেউ যাতে অ’বৈধ কোনো কাজে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ও জেলা উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচনী অফিসে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য এই উদ্যোগ।

ইসির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তার জন্য রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ব্যক্তির চেহারা শনাক্ত করতে ‘ফেস রিকগনিশন মেশিন’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির। এনআইডি উইংয়ে আইডিইএ প্রকল্পের সবাইকে অফিসে প্রবেশ ও বের হতে আঙুলের ছাপ দেয়া বা’ধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারের জন্য টেরাবাইট বাড়ানো হচ্ছে। বাড়ছে সিসিটিভির সংখ্যাও।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভার যন্ত্র বসানোর পর প্রতিদিন ইসি ও ইটিআই ভবনে কারা কারা প্রবেশ করলেন, তা জানা যাবে। এটি কেবল পরিকল্পনা করা হয়েছে। এখন এটি কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে। কমিশন এটা অনুমোদন দিলে তারপর বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে ইসিতে ‘ব্যক্তির চেহারা শনাক্ত’ যন্ত্র বসানো হবে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ও উপজেলার সার্ভারের নিরাপত্তা জোরদারের মধ্যে নতুন করে কড়া’কড়ি আরোপও শুরু করা হয়েছে। এরই মধ্যে গতকাল রোববার থেকে এনআইডি উইংয়ে আইডিইএ প্রকল্পের সবাইকে অফিসে প্রবেশ ও বের হতে আঙুলের ছাপ দেয়া বা’ধ্যতামূলক করা হয়েছে।

নির্বাচন ভবন ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনে ভোটারদের ডেটাবেইজ, পার্সোনালাইজেশন সেন্টার, এনআইডি সার্ভার ও সেবা কাজ চলমান রয়েছে। ভবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি ফ্লোরে বিশেষ যন্ত্র ও সিসিটিভি কাজ করবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ব্যক্তির চেহারা শনাক্ত করার এই যন্ত্রটি (ফেস রিকগনিশন মেশিন) দিয়ে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা ও অনুমোদিত ব্যক্তিদের চেহারা চিহ্নিত করা হবে। সঠিক ব্যক্তি হলে মুখমণ্ডল জুড়ে বর্গাকৃতির সবুজ রেখা জ্বলে উঠবে। আর ব্যক্তি বহিরাগত হলে জ্বলবে লাল রঙের রেখা। এর মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের কর্মকাণ্ডও নজরদারিতে থাকবে। ইটিআই ভবন ও নির্বাচন ভবনের আশপাশেও তা কার্যকর থাকবে।

ইসির আগে সিলেটেও এ প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে অপরাধী শনাক্ত করতে গিয়ে অনেক সময় নিরীহদেরও সার্ভেইল্যান্সের মুখে পড়তে হচ্ছে। এতে সময় নষ্ট হচ্ছে পুলিশের, সাধারণ জনগণের হয়রা’নি! এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো, অকল্যান্ডসহ ৪টি শহরের ‘ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা’ ব্যবহারে নি’ষেধাজ্ঞা দিয়েছেন দেশটির আদালত।

জানা যায়, বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভার স্টেশন সংস্কারের কাজ চলছে। বর্তমান সার্ভারের ধারণ ক্ষমতা ৫০ টেরাবাইট। এর মধ্যে ১০ কোটি ৪২ লাখের বেশি ভোটারের তথ্য ধারণ করতে ব্যয় হয়েছে ৪৫ টেরাবাইট।

যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে সার্ভার স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিল না। এ সমস্যা কাটানোর জন্য ইসি আরও ১০০ টেরাবাইট ধারণ ক্ষমতার সার্ভার বসানো কাজ শুরু করেছে।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!