বুয়েট প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হ’ত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে ফের উত্তা’ল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আন্দোলনে নেমেছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন আবরারের সহপাঠীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আবরার হ’ত্যার বিচার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
এসময় আবরারের খু’নিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফেস্টুন প্রদর্শন করেন তারা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বুয়েটের শিক্ষক সমিতি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি একেএম মাসুদ বলেন, ক্যাম্পাসে অতীতে যেসব বে’আইনি ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর কোনো বিচার হয়নি। তারই খেসারত হিসেবে আজকের এই হ’ত্যাকাণ্ড। আগের ঘটনাগুলোর ব্যবস্থা নিলে এ ঘটনা ঘটত না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অপ’রাজনীতির কারণে এসব হ’ত্যাকাণ্ড হচ্ছে। এজন্য বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নি’ষিদ্ধ করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক সমিতির সদস্যরা সোমবার রুয়েট উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি (উপাচার্য) বলেছিলেন ব্যবস্থা নেবেন। তারপর আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষক সমিতি ছাত্রদের এই আন্দোলনের সঙ্গে একমত।
নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হ’ত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ক্যাম্পাসে যাননি। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সবার একটাই প্রশ্ন, ‘উপাচার্য কোথায়?’ তাকে মোবাইল ফোনে কল দিলেও তা রিসিভ হয়নি।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও ২ তলার সিঁড়ির করিডর থেকে তার মর-দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৩য় জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় নিজ বাড়ির আঙিনায় পারিবারিক কবরস্থানে আবরার ফাহাদকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
43