সময় এখন ডেস্ক:
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আপনি যত বড় নেতা, কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী বা ঠিকাদার হোন না কেন, অ’নিয়ম-দুর্নীতি করে পার পাবেন না। সরকার ইতিমধ্যে সমাজ থেকে অ’নিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে অভিযান শুরু করেছে। আমি আশা করি এ অভিযান দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখবে এবং অবকাঠামোসহ উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে গুণগতমান নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে মধ্য আয়ের দেশে পা রেখেছে। আমরা ২০ তলা ভবন মাত্র ১৩ মাসের মধ্যে নির্মাণ করার সক্ষমতা অর্জন করেছি। কিছু অ’সাধু লোকের জন্য জাতির এ অর্জন ম্লান হতে পারে না।
তিনি বলেন, বসতি নির্মাণের ক্ষেত্রে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এককভাবে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর এ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব প্রকল্পের গুণগতমান কতটুকু নিশ্চিত হচ্ছে, প্রকল্পের টাকা কতটুকু সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা ক’ঠোরভাবে মনিটরিং করা জরুরি। বিভিন্ন প্রকল্পের অ’পকীর্তি ও অ’নিয়ম গণমাধ্যমে প্রায়ই সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে।
কোনো কোনো সময় এসব সংবাদ ‘টক অব দ্য সিটি’ বা ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়। অনেক সময় ভবনের কাজ শেষ না হতেই ভবনে ফাটল দেখা দেয় বা পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে সরকারি কাজের মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয় এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষু’ন্ন হয়। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দায় সরকার নেবে না বরং তাদেরই তাদের দায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি কাজের জন্য কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্ব সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে প্রকল্পে কোনো ধরনের অ’নিয়ম বা দুর্নীতি হলে তৎক্ষণাৎ চিহ্নিত করা যায় এবং দায়ী ব্যক্তিকে শা’স্তির আওতায় আনা যায়। কাজের প্রতিটি স্তরে সঠিকভাবে তদারকি হলে রডের পরিবর্তে বাঁশ আর সিমেন্টের বদলে বালি ব্যবহারের গল্প শুনতে হবে না। ছোটখাটো ক্রয় ছাড়া সরকারি সব কেনাকাটাই ঠিকাদারের মাধ্যমে হয়।
ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমরা জানি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠান নয়। তবে ব্যবসার নামে প্র’তারণা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কাজ না করে বা আংশিক কাজ করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আঁতাত করে বিল নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। অ’হেতুক বিলম্ব করে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ফায়দা লু’টবেন- এ ধরনের মনমানসিকতা প’রিহার করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার বক্তব্য দেন।
1.1K