ফেঁ’সে যাচ্ছেন সেই কু’খ্যাত ডিআইজি প্রিজন বজলু, সাসপেন্ডের সুপারিশ!

0

সময় এখন ডেস্ক:

ফেঁ’সে যাচ্ছেন ডিআইজি প্রিজন (হেডকোয়ার্টার্স) বজলুর রশীদ। অভিনব কায়দায় বিপুল পরিমাণ ঘুষের টাকা স্ত্রীর কাছে স্থানান্তর, কারা অধিদপ্তরে নিয়োগ বাণিজ্য, টাকার বিনিময়ে বিত’র্কিত কর্মকর্তাদের পদায়নসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত বজলুকে চাকরি থেকে সাময়িক বর’খাস্ত করাসহ তার বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে সুপারিশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

আর এজন্য গঠন হচ্ছে তদন্ত কমিটি। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে শতাধিক ধাপে কয়েক কোটি টাকা স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারের কাছে পাঠানোর অভিযোগে কারা অধিদপ্তর ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদকে শোকজ করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তার বিরু’দ্ধে অ্যাকশন চলমান রয়েছে। ঘটনা তদন্তে ২ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সেই সঙ্গে বজলুর রশীদকে তার চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বর’খাস্ত করার সুপারিশ করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ সূত্র জানায়, এই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হচ্ছে যুগ্ম সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেনকে। তাকে সহায়তা করবেন উপ-সচিব মনিরুজ্জামান।

কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জামালপুরের বাসিন্দা বজলুর রশীদ ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কারা অধিদপ্তরের কর্মরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানাভাবে হয়রা’নি ও নির্যা’তন চালিয়েছেন।

তার বিরু’দ্ধে অভিযোগ তিনি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারা’গারের জেল সুপার পদে দায়িত্ব পালনের সময় ২০০৭ সালের ২৫ নভেম্বর রাতে জ’ঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমানের ছেলে নাবিল রহমানকে কারা’গার থেকে বের হয়ে যেতে সহায়তা করেন। রাত ৮টার দিকে নাবিল রহমান কারা’গারের উঁচু প্রাচীর টপকে বাইরে চলে এলেও স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করেন।

এ ঘটনার পর বজলুর রশীদকে তার চাকরি থেকে সাময়িক বর’খাস্ত করে সাজা হিসেবে খাগড়াছড়ি কারা’গারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে একটি বিভাগীয় মামলা হয় এবং তার পদ অব’নমন করা হয়। এ মামলার বিরু’দ্ধে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেও তিনি হেরে যান।

কারা অধিদপ্তরে বিত’র্কিত প্রধান কারা’রক্ষী হিসেবে পরিচিতি আছে নজরুল ইসলামের। তাকে ঢাকায় নিয়ে আসার পেছনেও বজলুর রশীদের ভূমিকা রয়েছে। অভিযোগ আছে, বজলুর রশীদ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নজরুল ইসলামকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা’গরে নিয়ে আসেন।

একজন কারা কর্মকর্তা জানান, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রে’নেড হাম’লার সময় পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের তৎকালীন কেন্দ্রীয় কারা’গারে গ্রে’নেড পাওয়া যায়। ওই সময় কেন্দ্রীয় কারা’গারের গোয়েন্দা কারা’রক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন নজরুল ইসলাম।

তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নির্দেশে কারা’গারের ভিতরে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে ফেলেন এই নজরুল ইসলাম। এরপর দীর্ঘদিন তাকে ঢাকার বাইরেই রাখা হয়। বজলুর রশীদ সম্প্রতি তাকে হঠাৎ করেই প্রধান কারা’রক্ষী হিসেবে কেরানীগঞ্জে পোস্টিং দেওয়ায় কারা কর্মকর্তাদের মধ্যে বি’রূপ প্রতি’ক্রিয়া দেখা দেয়।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!