আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এয়ারফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজের মতোই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুরক্ষায় বিশেষ বিমান কেনা হচ্ছে। আর এই বিশেষ বিমানে থাকবে মিসাইল প্রতিরো’ধের সুরক্ষা ব্যবস্থা। বিমানের নাম দেওয়া হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের জুন মাসেই নরেন্দ্র মোদির বহন তালিকায় যুক্ত হচ্ছে এই বিশেষ বিমান। বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি তৈরি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এয়ারফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজের মতোই বিমানটি তৈরি করা হয়েছে। অত্যাধুনিক এই বিমানের নাম দেওয়া হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া এই বিমানে চলাচলের সুবিধা পাবেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু।
মোদির জন্য আনা এই বিশেষ বিমান ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত একটানা উড়তে সক্ষম। যাত্রাপথের মাঝে কোনো জ্বালানি ভরতে হবে না বিমানটিতে।
বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি যে বিমানে সফর করেন সেগুলো প্রায় ২৬ বছরের পুরোনো। তাই সেগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
এদিকে, বিশেষ বিমানে শ’ত্রুপক্ষের রাডার জ্যাম করার প্রযুক্তি থাকব। এই বিশেষ বিমানে থাকবে মিসাইল প্রতিরো’ধক ব্যবস্থাও। পাইলট আগেই জানতে পারবেন বিমানে মিসাইল হাম’লার সম্ভাবনা রয়েছে কি না। পুরো বিমানের পেছনে খরচ করা হয়েছ ১৯ কোটি মার্কিন ডলার।
ভারতের চেয়ে বহু ক্ষেত্রেই সফল ও অগ্রসর বাংলাদেশ: অর্মত্য সেন
মানুষের গড় আয়ু ও নারী শিক্ষাসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এখন ভারতের চেয়ে বেশি সফল বলে এমন মন্তব্য করেছেন নোবেল জয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ ড. অর্মত্য সেন।
গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন দ্য নিউ ইয়র্কারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গড় আয়ু, নারী শিক্ষাসহ বহু ক্ষেত্রে এখন ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ভারতের সমাজে হিন্দু’ত্ববাদী চিন্তার সং’কীর্ণতা যেভাবে প্রতিফলিত এবং প্রসারিত হচ্ছে বাংলাদেশের চিত্র সেদিক থেকে অনেকটাই ভিন্ন বলে মনে করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন দ্য নিউ ইয়র্কারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতির ক’ঠোর সমালোচনা করে ড. অর্মত্য সেন বলেন, ইচ্ছা করেই ভারতের বহু ধর্মীয় ও বহু নৃতাত্ত্বিক পরিচয় ন’ষ্ট করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। গেটস ফাউন্ডেশন নরেন্দ্র মোদিকে অ্যাওয়ার্ড দেবে এমন খবরে বিস্মিত হয়েছেন বলে জানান ড. অর্মত্য সেন।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন বলেন, মাত্র ১২ বছর আগে ২০০৭ সালে আমাদের একজন মুসলিম প্রেসিডেন্ট, একজন শিখ প্রধানমন্ত্রী এবং শাসক দলের একজন খ্রিস্টান নেতা ছিলেন। সে সময় সংসদের বেশিরভাগ সদস্য হিন্দু হলেও কেউ হিন্দু’ত্ববাদী চিন্তা চাপিয়ে দিতে চাননি।
অথচ হঠাৎ করেই আজ আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে এসে পড়েছি যেখানে সামান্য গরুর মাংস খাওয়া ইস্যুকে কেন্দ্র করে একজন ভারতীয় মুসলিমকে প্রকাশ্যেই নিপী’ড়ন এবং হ’ত্যা করা হচ্ছে। বহুমুখী আত্ম পরিচয়ের সহাবস্থান এবং সাম্প্র’দায়িক সম্প্রী’তির প্রসঙ্গে ড. অর্মত্য সেন বাংলাদেশের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ অনেক দিক থেকেই ভারতের চেয়েও বেশি সফল। আগে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ভারতের চেয়ে কম ছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৫ বছর বেশি। নারী শিক্ষার হারও বেশি বাংলাদেশে।
আর ভারতের হিন্দু চিন্তায় ব্যাপকহারে যে সাম্প্র’দায়িক সং’কীর্ণতার উত্থান ঘটেছে, বাংলাদেশের মুসলিম চিন্তায় কিন্তু সেরকম সং’কীর্ণতা নেই। বাংলাদেশে বহুমুখী আত্ম পরিচয়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান দেশটির এই অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে।