জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ
বুয়েট ছাত্র আবরার এর হ’ত্যাকারীদের সাজার দাবিতে বহিরাগতদের নিয়ে বিক্ষো’ভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষো’ভ মিছিলটি শুরু হয়। শেষ হয় অম’র একুশ’র সামনে গিয়ে। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। কর্মসূচির শেষের দিকে শাখা ছাত্রলীগের মাত্র একজন নেতার তাড়া খেয়ে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ছাত্রদলের বিক্ষো’ভ মিছিলে বহিরাগতদের দেখে তাতে বাধা দেন শাখা ছাত্রলীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক এটিএম মাহবুবুল হক রাফা। তাড়া করলে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা দৌড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে পালিয়ে যায়। রাফাও তাদের পিছু নেয়। ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা এবং বহিরাগতরা এ সময় দ্রুতগতিতে বাসে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ত্যাগ করে।
এ ঘটনার সমালোচনা করে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, আজকে ছাত্রদলের সাথে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত ঘৃ’ণ্য একটি কাজ। রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ক্ষেত্রেই যে পী’ড়ন চলছে তার একটি প্রকৃত ও প্রকাশ্য উদাহরণ আজকের এই ঘটনা।
একটি ছাত্র সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতেই পারে। এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তাছাড়া আবরার হ’ত্যার বিচারের ন্যায্য একটি দাবিতে তারা মিছিল করতে এসেছিল। তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে ছাত্রলীগ প্রমাণ করেছে যে, সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে পী’ড়ন চালিয়ে গোটা রাষ্ট্রে ফ্যা’সিজম কায়েম করা হয়েছে।
মিছিলে ধাওয়ার বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বলেন, আমরা কোন সহিং’সতা চালাতে ক্যাম্পাসে আসিনি। একটি হ’ত্যার বিচার চাইতে এসেছিলাম। কিন্তু সেখানেও ছাত্রলীগ বাধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, চাইলে পাল্টা হাম’লা চালাতে পারতাম; কিন্তু আমরা সহাবস্থান চাই, তাই পাল্টা হাম’লা চালাইনি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে। তারা বলেছে তারা দেখবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক এটিএম মাহবুবুল হক রাফা বলেন, ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা যদি নিজেরা এসে ক্যাম্পাসে মিছিল করতেন, তাহলে কোনো সমস্যা ছিল না। তারা বহিরাগতদের নিয়ে এসে ক্যাম্পাসে অ’প্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছিল। সেজন্য আমরা তাদেরকে এখানে অবস্থান নিতে দিইনি।
তবে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, গতকাল রাতে আমার সাথে কথা হয়েছে। আমি বলেছি, যে কোন অনা’কাঙ্খিত ঘটনা এড়িয়ে চলতে এবং কোন অ’ছাত্র যাতে ক্যাম্পাসে না আসে। কারণ অ’ছাত্রদের দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেবে না।
131