রাবিতে মিছিলের জন্য বহিরাগতদের ডেকে আনার অভিযোগ!

0

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স’ন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরু’দ্ধে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য বহিরাগতদের ডেকে আনার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক একরাম উল্লাহ্’র বিরু’দ্ধে।

বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে ৩০-৩৫ জন বহিরাগত ছেলেকে আসতে দেখা যায়। কিন্তু বহিরাগতরা আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এ সময় সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন তাদের দাবিতে মানববন্ধন করছিলো, তখন আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের নেতৃত্বে সেখানে ৩০-৩৫ জন অল্প বয়সী কিছু ছেলে আসে। যাদের অধিকাংশের বয়স ১৫-২০ বছর। তারা মানববন্ধনে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। পরে সেখান থেকে তাদেরকে সরে যেতে বললে, তারা গ্রন্থাগারের সামনের রাস্তায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। ১০-১৫ মিনিট পর তারা সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে চলে যায়।

এ বিষয়ে আন্দোলনকারী ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ অন্তর বলেন, চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নেয়। তখন বহিরাগত ৩০-৩৫ জন ছেলেকে আন্দোলনে সামিল হতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে বহিরাগত বলে তাদের বের করে দেয়া হয়।

বহিরাগতদের নেতৃত্বে থাকা আজমত হোসেন বলেন, আমাদেরকে একরাম উল্লাহ স্যারের নাম করে আওয়াল নামের একজন ব্যক্তি এখানে আসতে বলেছিল। তাই আমরা এখানে এসেছিলাম।

কী কারণে আসতে বলেছে তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা কোন উত্তর দিতে পারিনি। তবে আওয়ালের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আন্দোলনে আসা তরিকুল নামের একজন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কী যেন আন্দোলন হবে, সেজন্য আমাদেরকে এক বড় ভাই আসতে বলেছিল। তাই এসেছি।

তবে অভিযোগ ওঠা শিক্ষক অধ্যাপক একরাম উল্লাহ্ বলেন, তাদেরকে আমি ডাকছিলাম আমার ব্যক্তিগত কাজে। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা আমার বাসায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করেছে। সেই সুবাদে তাদের কিছু পাওনা পরিশোধ এবং কিছু খাওয়ানোর জন্য ক্যাম্পাসে আসতে বলছিলাম।

ইতোমধ্যে আমাদের একটা মানববন্ধন ছিল সিনেট ভবনের সামনে। সেখানে তারা দেখা করতে গেলে আমি তাদেরকে বলি তোমরা টুকিটাকিতে বস আমি আসছি। একটা চক্রান্ত আমাকে ফাঁ’সানোর জন্য জিনিসটা অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমি এর তীব্র নি’ন্দা ও প্র’তিবাদ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজমুল হায়দার বলেন, আমরা একটা তথ্যের ভিত্তেতে ওখানে যাই। তারপর তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে কারও বরাত দিয়ে তারা একরাম স্যারের কাছে এসেছে। তারপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসা’বাদ শেষে তাদের নাম ঠিকানা লিখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন !
  • 34
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!