আবরারের ডেডবডি সিঁড়িতে রেখে ফুটবল ম্যাচ দেখে ঘা’তকরা

0

সময় এখন ডেস্ক:

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে হ’ত্যায় ঘটনায় উত্তা’ল সারা দেশ। দৃষ্টান্ত’মূলক বিচার, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করাসহ ৭ দফা দাবিতে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষো’ভ করছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আবরারকে তার কক্ষ থেকে রবিবার দিবাগত রাত ৮টা ১৩ মিনিটে ২য় বর্ষের ৫ জন এসে ডেকে নিয়ে যায় দোতলায়। তারা আবরারকে নিয়ে যাওয়ার সময় হেলমেট হাতে একজন আসে সেখানে। আবরার দোতলায় উঠে যায় অন্যদের সঙ্গে। পরে রাত দেড়টায় আবরারকে কক্ষ থেকে বের করা হয়।

প্রথমে একজনকে বারান্দা দিয়ে কিছুটা দৌড়ে এসে দাঁড়াতে দেখা যায়। এরপর তিনি একই পথে ফিরে যান। কিছুক্ষণ পর আবরারকে ৩ জন নিয়ে আসেন। তাদের পেছনে একজনকে হেঁটে আসতে দেখা যায়, তার পেছনে আরেকজন হেঁটে আসেন। এর পরপরই আরও ৫ জন ওই বারান্দা দিয়ে হেঁটে আসেন।

শিক্ষার্থী ও একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেরে বাংলা হলের দোতলার ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরার ফাহাদের মুঠোফোন নিয়ে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার চেক করেন। এরপর ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে আবরারকে পে’টান। কিছুক্ষণ পর ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আরও কয়েকজন নেতা-কর্মী আসেন। তারা আরেক দফা পে’টান আবরারকে।

এক পর্যায়ে আবরার নিস্তে’জ হয়ে পড়েন। তখন ছাত্রলীগের নেতারা আবরারের হলের সহপাঠীদের ডেকে আনেন এবং তাদের দিয়ে নি’থর শরীর দোতলা ও নিচতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে নিয়ে রাখেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতারা বাইরে যান রাতের খাবার খেতে।

এরপর নিশ্চিন্তে টেলিভিশনে লা লিগার ফুটবল ম্যাচ দেখছিল তারা। এমনকি সেখানে রাতের খাবারও খেয়েছে তারা। হ’ত্যাকাণ্ডের দিন হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা এমন তথ্য জানান।

ঘা’তক ধারনা করে এমন ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের অনেকে হ’ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা’বাদে তারা বর্ণনা দিয়েছে কীভাবে হ’ত্যা করা হয়েছে আবরারকে।

আবরার থাকতেন শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে। রবিবার বিকালে পলাশী থেকে চা নাস্তা খেয়ে রুমে যান আবরার। এরপর সাড়ে ৭টার দিকে তাকে ডেকে পাঠান বড় ভাইরা। ২০১১ নম্বর রুমে তাকে ডেকে নেন ৩ জন। এরপর সেখানে আবরারের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ম্যাসেঞ্জার পরীক্ষা করেন তারা।

এরপর তার সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে জিজ্ঞাসা’বাদ করা হয়। ওই স্ট্যাটাস নিয়ে জিজ্ঞাসা’বাদের পর্যায়ে তাকে মারধ’র শুরু করে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতারা। কয়েক ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে চলে নির্যা’তন।

রাত ১০টার দিকে আবরারের কাপড় নিয়ে যান তারা। আবরারের এক বন্ধু বলেন, ধারণা করি র’ক্তাক্ত হয়েছে আবরার। ২০১১ নম্বরের পাশের রুম ২০১০ নম্বর থেকে শোনা যাচ্ছিল শব্দ।

শেয়ার করুন !
  • 39
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!