বিশ্ব বিচিত্রা ডেস্ক:
একেই বলা যায়- ভিখারি রাজা! ভারতের মুম্বাইয়ের এই ঘটনা কিন্তু তাই বলছে। ভিক্ষুকের ঝুপড়িতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ ২০ হাজার টাকা বেতনের পুলিশ কর্মীদের!
ভিক্ষুকের ঘর থেকে উদ্ধার করা টাকা গুণতেই ৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেল পুলিশের। শুক্রবার রাতে মুম্বাইয়ে রেললাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনে কা’টা পড়ে মৃ’ত্যু হয় এক ভিক্ষুকের। নাম বীরভীচাঁদ আজাদ। তার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
মৃ’ত্যুর পর তার সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে পুলিশ ভিক্ষুকের ঝুপড়িতে যায়। সেখানে কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। পরিচিতদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায় কি না, তাদের ছবি বা কাজগজাদি খুঁজতে এরপর পুলিশ তার ঝুপড়িতে তল্লাশি চালায়। আর তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশের চক্ষু কপালে উঠে যায়!
ঘরের মধ্যে একটা ব্যাগে ভর্তি ছিল নানা মূল্যমানের কয়েন। শুধু তাই নয়, এই ঝুপড়িতে মিলেছে বেশ কয়েকটি ফিক্সড ডিপোজিটের কাগজপত্র।
জিআরপি পুলিশের তথ্যানুসারে, কয়েনের পরিমাণ এত বেশি ছিল যে, সেগুলো গুনতে পুলিশের ৪ ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। সব মিলিয়ে ওই ভিক্ষুকের ঝুপড়ি থেকে পুলিশ ১ লক্ষ ৫০ হাজার রুপি উদ্ধার করছে।
এছাড়া বেশ কয়েকটি ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেট পাওয়া গিয়েছে, যার মোট মূল্য ভারতীয় রুপিতে ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার।
রাজস্থানের বাসিন্দা বীরভীচাঁদ মুম্বাইয়ের গোবন্দি অঞ্চলে রেললাইনের ধারে থাকতেন। পাশেই রেল স্টেশনে ভিক্ষা করে বেঁচে থাকতেন। কিন্তু কেউ জানত না, তার কাছে এত বিপুল পরিমাণ টাকা আছে বা থাকতে পারে।
এদিকে এই ঘটনা দেখে আশপাশের লোকজনও চমকে গেছে। তারা জানায়, বীরভীচাঁদের জীবনযাত্রায় কখনও মনে হয়নি, সে এত বিপুল টাকার মালিক। এমনকি সে যে ব্যাংকেও টাকা রেখেছে, সেটাও ধারনা ছিল না তাদের।
বীরভীচাঁদ আজাদের বাড়ি থেকে পুলিশ তার প্যান কার্ড, আধার কার্ড এবং সিনিয়র সিটিজেন কার্ড পেয়েছে। বাড়ি থেকে প্রাপ্ত নথিগুলোর ভিত্তিতে জিআরপি পুলিশ রাজস্থান পুলিশকে বীরভীচাঁদ আজাদের পরিবারের সদস্যদের অনুসন্ধান করতে বলেছে।
সূত্র : কলকাতা টাইমস।
