নোয়াখালী প্রতিনিধি:
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আবরার হ’ত্যা মামলা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে। তবে কোন আদালতে করা হবে না করা হবে তা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাড়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১০ তলা বিশিষ্ট নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এজাহারে অনেকের নাম নেই সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি মন্তব্য করতে চাননি। তবে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলার এজাহার করা হয়েছে। এ মামলার ও হ’ত্যার যে প্রকৃতি হয়ত অনেকের নাম এজাহারে নাও আসতে পারে। কিন্তু এজাহার করার পরে একটা তদন্ত হয়, তদন্ত পুলিশ করবে এবং সে তদন্তে যারা দোষী তাদের সকলের নাম আসবে।
এর আগে জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী আনিসুল হক।
এ সময় বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী, ৬ আসনের সাংসদ আয়েশা ফেরদৌস, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম ছারওয়ারসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, আবরার হ’ত্যা মামলায় প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ দেখে এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে খু’নের সঙ্গে জড়িত বলে চিহ্নিত করা গেছে।
চিহ্নিতরা হলেন- মেহেদী হাসান (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৩তম ব্যাচ), মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ), অনীক সরকার (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৫তম ব্যাচ), মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), ইফতি মোশারফ হোসেন (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ),
মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোজাহিদুল (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), তানভীর আহম্মেদ (এমই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), আকাশ (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ),
শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), তানীম (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ) এবং মোয়াজ মনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ)।
551