বুয়েট প্রতিনিধি:
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হ’ত্যা মামলার এজাহারে নাম না থাকার পরও প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টতা থাকায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আবরার হ’ত্যা মামলার বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এজাহার দায়েরের আগেই মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। পরদিন ওই ১০ জনকে আদালতে হাজির করে আমরা ৫ দিন করে রিমান্ড পেয়েছি। তাদের জিজ্ঞাসা’বাদ চলছে। পাশাপাশি এজাহার দায়েরের পরে আমরা আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। ফলে এজাহার দায়েরের পর আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এজাহার একটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী। প্রাথমিকভাবে যাদের নাম এসেছে আবরার ফাহাদের বাবা তাদের নাম উল্লেখ করেছেন এবং অ’জ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের কথা বলেছেন। তারই সূত্র ধরে এজাহারে নাম নেই কিন্তু অন্যান্যদের জিজ্ঞাসা’বাদ করে বা বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।
এজাহার বহির্ভূত গ্রেপ্তাররা হলেন- অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান এবং শামসুল আরেফিন রাফাত।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সবুজবাগ থেকে আবরার ফাহাদ হ’ত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে আটক করে পুলিশ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবরারের রুমমেট মিজানকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুম থেকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। আটক মিজান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটার রিসোর্চ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে শামসুল আরেফিন রাফাতকে রাজধানীর ঝিগাতলা এলাকা গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরে বাংলা হলের ২য় তলা থেকে অ’চেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
সোমবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন। তার শরীরে অসংখ্য আঘা’তের চিহ্ন ছিল।
311