মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
সাটুরিয়া স্বাস্থ্য কসপ্লেক্সের চুরি হওয়া প্রায় ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাসপাতালের ক্যাশিয়ার মো. লুৎফর রহমানের কাছ থেকে চুরির টাকা রোববার উদ্ধার করা হয়।
গত ৩ অক্টোবর সাটুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরি হওয়ার ঘটনা নাটক সাজান ক্যাশিয়ার মো. লুৎফর রহমান। প্রায় ৬ লাখ টাকা চুরি হওয়ার ঘোষণা দিলেও ১ সপ্তাহ ধরে ওই টাকা তার বাড়িতেই ছিল বলে পুলিশকে জানায়।
এ ঘটনায় পুলিশ তাকে শনিবার দিনভর জিজ্ঞাসা’বাদ করে এ তথ্য পায়। তবে আইনি জটি’লতায় এখনো তাকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
অতগুলো টাকা থাকার কথা প্রকাশ্যে কেউ জানত না বলে জানান ক্যাশিয়ার লুৎফর রহমান। তাছাড়া জানালার অক্ষ’ত কাঁচ, ভা’ঙা গ্রিল দেখে প্রত্যক্ষ’দর্শীদের সন্দে’হের তীর ছিল ক্যাশিয়ার আর নৈশপ্রহরীর দিকে।
যেহেতু পরদিন শুক্রবার বন্ধের দিন, বেতনের অতগুলো টাকা কোনো কর্মকর্তাকে অব’হিত না করে অফিসে রেখে যাওয়া দায়িত্বহী’নতার পরিচয়- এমনি মন্তব্য স্থানীয়দের।
ক্যাশিয়ার মো. লুৎফর রহমান ধামরাই উপজেলার শিংশ্রী গ্রামের নছিমুদ্দিনের পুত্র বলে জানা গেছে। গত প্রায় ১ বছর যাবৎ সাটুরিয়া হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মামুনুর রশিদ জানান, গত রোববার রাতে পুলিশ আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে জানায় চুরিকৃত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেগুলো আদালতের মাধ্যমে নিতে হবে। উদ্ধারকৃত টাকা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আর ক্যাশিয়ার লুৎফর রহমানকে আমার হেফাজতে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ক্যাশিয়ার মো. লুৎফর রহমান জানান, আমি ভুলে টাকাগুলো বাড়ি নিয়ে রেখেছিলাম। এ কথা আমার আর মনে ছিল না। তাই যেহেতু ক্যাশিয়ার আমি সেহেতু পুরো ঘটনার দায় আমার ওপর ব’র্তায়। তবে আমি চুরি করিনি।
কে গ্রিল কেটেছে- জানতে চাইলে তিনি জানান, মূলত চোরেরাই হয়তো গ্রিল কে’টে চুরি করেছে।
এদিকে সাটুরিয়া থানার ওসি মো. মতিয়ার রহমান মিঞা বলেন, হাসপাতালের ক্যাশিয়ার মো. লুৎফর রহমান কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনের টাকা হাতিয়ে চুরির নাটক সাজায়। আইনি জটি’লতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দুদক ব্যবস্থা নেবে।
420