বুয়েট প্রতিনিধি:
বুয়েট ছাত্র আবরারের মৃ’ত্যুর পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ক্যাম্পাসে সব ধরনের সাংগঠনিক রাজনীতি বন্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসাথে ছাত্রলীগের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণনাধীন কক্ষগুলোতে ঝুলছে তালা।
এসব কিছুর পর এবার আন্দোলনকারীরা বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ফলকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানারের নিচে লেখা ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ থেকে ‘ছাত্রলীগ’ শব্দটিও সাদা রঙ দিয়ে মুছে দিয়েছে।
মঙ্গলবার বুয়েট শহীদ মিনারের ওই ফলকে এই চিত্র দেখা যায়। তবে এই কাজটির পেছনে হিজবুত তাহরীর বা ছাত্র শিবিরের হাত থাকতে পারে বলে ধারণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে আলোচনা চলছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কেউ এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে চান নি।
আবরার ফাহাদ হ’ত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের নামে মামলা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা’বাদ করেছে পুলিশ। রোববার পর্যন্ত ৪ জন ১৬৪ ধারায় জবানব’ন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, অনীক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশারেফ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না,
মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, মোহাজিদুর রহমানকে, শামসুল আরেফিন, মনিরুজ্জামান ও আকাশ হোসেন, মিজানুর রহমান (আবরারের রুমমেট), ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা এবং হোসেন মোহাম্মদ তোহা এবং মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হয়েছেন এ এস এম নাজমুস সাদাত।
এদের মধ্যে ১৩ জনকে স্থায়ী বহি’ষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। আর ১৯ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহি’ষ্কার করা হয়েছে।
আবরার হ’ত্যার ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থীরা খু’নিদের শা’স্তি, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দাবির মুখে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করেন উপাচা’র্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থী ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত হলে তার বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, কেবল আশ্বাস নয়, বাস্তবায়নও দেখতে চান তারা।
176