সিলেট প্রতিনিধি:
ভারতীয় খাসিয়া এক গৃহবধূ প্রেমের টানে সিলেটের জৈন্তাপুরের ফিরোজ নামক এক যুবকের হাত ধরে চলে এসেছেন। এ ঘটনায় ভারতীয় গৃহবধূসহ ফিরোজের পরিবারের সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশি অপর এক যুবক ও শতাধিক গরু ধরে নিয়ে গেছেন ভারতীয় খাসিয়ারা।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সিলেট সীমান্তে টান টান উত্তে’জনা বিরাজ করছে।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকও হয়েছে। বৈঠকে ২ দিনের মধ্যে ওই নারীকে ফেরত দেয়ার কথা প্র’তিশ্রুতি দেয় বিজিবি। কিন্তু ঘটনার পর থেকে ওই নারীসহ ফিরোজকে নিয়ে পরিবারের সবাই আত্ম’গোপনে থাকায় বিজিবি তাদের খুঁজে পায়নি।
জানা যায়, গত শনিবার জৈন্তাপুর উপজেলার টিপরাখলা সীমান্তের বাসিন্দা বীর মুক্তিযো’দ্ধা হারিছ উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ মিয়া (৩৮) ভারতের এসপিটিলা এলাকার হেওয়াই বস্তির বাসিন্দা শংকর খাসিয়ার স্ত্রীকে দেশে নিয়ে আসেন। কিন্তু ফিরোজসহ ওই নারী আত্ম’গোপনে থাকায় বিজিবি তাদের খুঁজে পায়নি।
২ দিন পরও ওই নারীকে ফেরত না পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ১২৮৮ নং আন্তর্জাতিক পিলারের ৩ এস পিলার থেকে ৬ এস পিলার দিয়ে ভারতীয় হেওয়াই বস্তির খাসিয়ারা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে। এ সময় তারা টিপরাখলা গ্রামের তজম্মুল আলীর ছেলে আবদুন নুরকেসহ (৪৫) প্রায় শতাধিক গরু ধরে নিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিজপাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইয়াহিয়া জানান, আমরা ওই নারীর সন্ধান পেয়েছি। তাকে আনতে লোক পাঠিয়েছি। তাকে পাওয়ার পর দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর বৈঠকের মাধ্যমে এর সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে ১৯ বিজিবির জৈন্তাপুর ক্যাম্প কমান্ডার আবদুল কাদির বলেন, গত শনিবারের ঘটনার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যস্থতায় খাসিয়াদের সঙ্গে আলাপ হয়। ২ দিনের মধ্যে ভারতীয় নারীকে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিই। তারা আমাদের কথা আমলে নেয়।
কিন্তু ফিরোজের পরিবার আমাদের কথা না রাখায় ভারতীয় খাসিয়ারা উত্তে’জিত হয়ে বাংলাদেশে সীমান্তে প্রবেশ করে আবদুন নুরকেসহ প্রায় ১০০টি গরু ধরে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। খাসিয়ারা যাতে আর বাংলাদেশি মানুষ ও গরু ধরে নিতে না পারে সে জন্য সীমান্তে টহল জো’রদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই নারীর সন্ধান পাওয়া গেছে। আশা করি বিষয়টির শিগগিরই সুষ্ঠু সমাধান হবে।
181
