নাটোর প্রতিনিধি:
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাসিন্দাদের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ কোনো না কোনোভাবে বায়ুদূষণের মধ্যে বাস করছে।
বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর মা’রা যাচ্ছেন ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ আর ভারত ও চীনে মা’রা যান ১২ লাখ মানুষ। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার’-এর একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
আর এই বায়ুদূষণ রো’ধ করতেই নিজের মেধাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে ইট ভাটা ও কল-কারখানার দূষিত কালো ধোঁয়া পরিষ্কারের জন্য যন্ত্র উদ্ভাবন করলেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের উদবাড়িয়া গ্রামের কৃষক খবির উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ (২৭)।
অনার্স ২য় বর্ষ পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর ৬ বছর ধরে গবেষণা করে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ যন্ত্র উদ্ভাবন করে সফল হয়েছেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার জন্য কাঁচ দিয়ে তৈরি করা দূষিত কালো ধোঁয়া পরিষ্কারক যন্ত্রটি উদ্ভাবন করতে তার ব্যয় হয়েছে মাত্র আড়াই হাজার টাকা।
তার এ যন্ত্র ব্যবহারের ফলে ইট ভাটা ও কল-কারখানার কালো ধোঁয়া বর্তমান পদ্ধতির মতো আর ওপরের দিকে যাবে না। ইট ভাটার পার্শ্বে মাটির নিচে হাউজ করলে পাইপ দ্বারা সেখানে পানি ও কালো ধোঁয়ার সংমিশ্রণ ঘটবে।
দূষিত কালো ধোঁয়া মিশ্রিত পানি শোধন হয়ে পাইপের মাধ্যমে ইট ভাটার ওপরে স্থাপনকৃত স্টোরেজে পৌঁছে যাবে। এতে একদিকে যেমন ইট ভাটার ইট পুড়বে, অন্যদিকে আগুনের স্পর্শে স্টোরেজের পানি বাস্প হবে।
রুবেলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি পরিবেশের উন্নয়ন নিয়ে ভাবতেন। সেই ভাবনা থেকেই বায়ুদূষণ রো’ধের যন্ত্র উদ্ভাবন করতে সক্ষম হন। সরকারিভাবে বিষয়টি আমলে নিলে বায়ুদূষণ রো’ধের যন্ত্রটিকে বাণিজ্যিক রূপ দেয়া সম্ভব বলে দাবি তাদের।
যন্ত্রটির ব্যাপারে রুবেল আহমেদ বলেন, আমার এই উদ্ভাবিত যন্ত্রটি বায়ুদূষণ রো’ধ করে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁ’কি কমাতে সাহায্য করবে। কারণ এ কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় পানি বাস্প হয়ে আকাশে উড়ে যাবে।
আর দূষিত বায়ুর কারণে ফসলাদির যে ক্ষয়ক্ষ’তি হয় সেই ক্ষ’তি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও যন্ত্রটি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
279