গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা ভূমি অফিসের পাশে একটি ঘরের চালায় হঠাৎ দেখা গেল একটি বানর। এটি ভূমি অফিসে উপস্থিত সবার নজর কাড়লো।
এ সময় ভূমি অফিসের আঙিনায় বৃক্ষরোপণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর, সহকারী কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মিন্টু বিশ্বাস, কাশিয়ানী থানার ওসি আজিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম বানর দেখে দৌড়ে গেলেন কলা-রুটি খাবার নিয়ে।
এ সময় সহকারী কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মিন্টু বিশ্বাস তার অফিস সহকারীকে দিয়ে বাজার থেকে পাউরুটি ও কলা কিনে এনে বানরকে খেতে দিলেন। কিন্তু বানরটি তার স্বাভাবিক বাঁদরামো করেই যাচ্ছিল। এ সময় অসংখ্য উৎসুক মানুষ বানরের প্রতি এ আতিথেয়তার দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছিলেন।
অবুঝ প্রাণীর প্রতি অতিথিদের সহানুভূতি দেখে কাশিয়ানী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল আলম মুরাদ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, উপস্থিত অতিথিদের প্রাণির প্রতি এত ভালবাসা-মমতা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মিন্টু বিশ্বাস বলেন, মানুষ কেবল মানুষের প্রতি দয়া করবে এমনটি নয়, বরং পশুপাখির প্রতিও দয়া প্রদর্শন করতে হবে। আমার মনে হয়েছে ক্ষুধার্ত এ বানরটি দূরের কোনো এলাকা থেকে এসেছে। বানরটির ক্ষুধা দূর করতে পেরে আমার ভালোই লাগছে।
পথ ভুলে পদ্মা নদীর কুমির ঢুকে পড়লো পুকুরে!
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার একটি পুকুর থেকে পদ্মার মিঠা পানির কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর এলাকার লোকজন কুমিরটি দেখতে ভিড় জমায়।
উপজেলার মিয়াপুর এলাকার কলেজশিক্ষক রফিকুল ইসলামের পুকুর থেকে কুমিরটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কুমির উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন বন বিভাগের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও দমকল কর্মীরা।
গ্রামবাসী জানান, রোববার সকাল ৭টার দিকে পুকুরে কুমিরের উপস্থিতি টের পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মৎস্য অফিস ও বন বিভাগের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লোকজনও ঘটনাস্থলে হাজির জন।
কুমির উদ্ধার অভিযান বিষয়ে চারঘাট ফায়ার সার্ভিসের প্রধান জহিরুল ইসলাম জানান, প্রথমে তারা জাল টেনে কুমিরটিকে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কয়েক দফার চেষ্টাতেও কুমিরটি ধরা পড়েনি। অবশেষে পুকুরের পানি সেচ দিতে শুরু করেন। পানি কমে এলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে লুকিয়ে থাকা কুমিরটি বেরিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাল ফেলে কুমিরটিকে তুলে আনা হয়।
বন বিভাগের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর জানান, এটি মিঠা পানির কুমির। কুমিরটি লম্বায় প্রায় সাড়ে ৭ ফুট, ওজন প্রায় ৬৫ কেজি। মিঠা পানির কুমির হওয়ায় পদ্মা নদীতেও এরা থাকতে পারে। হয়তো পথ হারিয়ে কুমিরটি পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত নালা দিয়ে ডাঙায় চলে এসেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজমুল হক জানান, পুকুরে কুমির আসার খবর শুনে সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। তারা এসে কুমিরটিকে উদ্ধার করে। কুমিরটিকে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে দেয়ার কথা জানান তিনি।