রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে উখিয়া ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়া ৮ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পদ্মার মোড় থেকে সাতক্ষীরাগামী ঈগল পরিবহনের বাস থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ৫ নারী ও ৩ পুরুষ রয়েছেন।
আটককৃতরা হলেন- নুর কলেমা, মিনারা বেগম, জহুরা, খুসনামা বেগম, রাশিদা, রশিদ উল্লাহ, কামাল ও মীর জাফর।
গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী ঈগল পরিহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে রোহিঙ্গা নাগরিক ৫ নারী ও ৩ পুরুষকে আটক করা হয়।
তাদের দাবি, তারা বেনাপোল যাচ্ছিল। আটকদের মধ্যে রশিদউল্লাহ কিছুটা বাংলা বলতে পারেন। তিনিই সবাইকে গাইড করছিলেন।
বানরের প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান-ইউএনও-ওসির মমতা!
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা ভূমি অফিসের পাশে একটি ঘরের চালায় হঠাৎ দেখা গেল একটি বানর। এটি ভূমি অফিসে উপস্থিত সবার নজর কাড়লো।
এ সময় ভূমি অফিসের আঙিনায় বৃক্ষরোপণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর, সহকারী কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মিন্টু বিশ্বাস, কাশিয়ানী থানার ওসি আজিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম বানর দেখে দৌড়ে গেলেন কলা-রুটি খাবার নিয়ে।
এ সময় সহকারী কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মিন্টু বিশ্বাস তার অফিস সহকারীকে দিয়ে বাজার থেকে পাউরুটি ও কলা কিনে এনে বানরকে খেতে দিলেন। কিন্তু বানরটি তার স্বাভাবিক বাঁদরামো করেই যাচ্ছিল। এ সময় অসংখ্য উৎসুক মানুষ বানরের প্রতি এ আতিথেয়তার দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছিলেন।
অবুঝ প্রাণীর প্রতি অতিথিদের সহানুভূতি দেখে কাশিয়ানী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল আলম মুরাদ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, উপস্থিত অতিথিদের প্রাণির প্রতি এত ভালবাসা-মমতা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মিন্টু বিশ্বাস বলেন, মানুষ কেবল মানুষের প্রতি দয়া করবে এমনটি নয়, বরং পশুপাখির প্রতিও দয়া প্রদর্শন করতে হবে। আমার মনে হয়েছে ক্ষুধার্ত এ বানরটি দূরের কোনো এলাকা থেকে এসেছে। বানরটির ক্ষুধা দূর করতে পেরে আমার ভালোই লাগছে।